ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বলিহার কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 134

নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার কলেজের মো. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাষ টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে কলেজের অপরাপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় সচেতন মহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সচেতন জনগণের পক্ষে থেকে এলাকায় তার বিরুদ্ধে পোষ্টারিং এবং লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। এসব পোষ্টার এবং লিফলেট থেকে জানা গেছে ২০২১ সালে ঐ কলেজের ৩ জন ল্যাব এ্যাসিষ্ট্যান্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্বেও জন প্রতি ২০ লাখ করে টাকা নিয়ে অন্য এলাকার প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঐ ৩ জনের নিকট থেকে ৬০ লাখ টাকা নেয়া হলেও কলেজ ফান্ডে কোন টাকা জমা হয় নি। তাই এই নিয়োগ গোপন রাখতে স্থানীয়ভাবেযাতে জানাজানি না হয় সে কারনে অধ্যক্ষের পরামর্শে ঐ ল্যাব এ্যসিষ্ট্যান্টরা নিয়মিত কলেজে আসেননা। কিন্তু তাদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা হয়।

অপরদিতে ২০২০ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের অটোপাশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের নিকট থেকে পরীক্ষার ফি, কেন্দ্র ফি ইত্যাদি বাবদ যে টাকা নেয়া হয়েছে বোর্ড ফেরত দিলেও সেই টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেয়া হয় নি। এ বাবদ অধ্যক্ষ মোট ৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ ছাড়াও কলেজের ছাত্রীদের টিউশন ফি’র ২ লক্ষ টাকা পুরোপুরি আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কলেজের ৭৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অঅনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে ভর্তি, সেশন চার্জ, পরীক্ষার ফরম ফিলাপ বাবদ টাকা রশিদের মাধ্যমে আদায় করা হলেও তার অর্ধেক টাকা জমা দেখানো হয়েছে।

অর্ধেক টাকা অধ্যক্ষের পকেটে চলে গেছে। কলেজের কোন টাকা ব্যাংকের হিসাবে জমা না করে নিজের কাছে রেখে ইচ্ছামত খরচ করে থাকেন।

এ ছাড়াও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী ১৬ বছর পূর্তির ফলে সরকারী যে উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদান কার হয় সে ক্ষেত্রেও টাকার বিনিময়ে ব্যপক অনিয়ম করেছেন।

কিছু কিছু শিক্ষকের নিকট থেকে টাকার বিনিময়ে উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদানের জন্য রেজুলেশন গ্রহণ করলেও কলেজের ৬ জন প্রদর্শক, ২ জন অফিস সহকারী, ১ জন গ্রন্থাগারিক এবং ৯ জন অফিস সহায়কের উচ্চতর স্কেল প্রদানে কোন রেজুলেশন গ্রহনের প্রক্রিয়া গ্রহন করেন নি। এর ফলে এসব কর্মচারী তাঁদের উচ্চতর স্কেল পাওনা থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন।

এ ব্যপারে জানতে পার পার দুই দিন কলেজে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। এ ছাড়াও তাঁর ব্যবহৃত ০১৭১৭৩৬৩৪০৮ নম্বর মোবাইল ফোনে গত এক সপ্তাহ ধরে কল করেও তিনি সে কল রিসিভ করেন নি। এই দুই দিন কলেজে গিয়ে সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত ল্যাব এ্যাসিণ্ট্যান্ট ওমর ফারুখ ও আতিকুর রহমানকে পাওয়া যায় নি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বলিহার কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট : ০১:১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার কলেজের মো. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাষ টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে কলেজের অপরাপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় সচেতন মহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সচেতন জনগণের পক্ষে থেকে এলাকায় তার বিরুদ্ধে পোষ্টারিং এবং লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। এসব পোষ্টার এবং লিফলেট থেকে জানা গেছে ২০২১ সালে ঐ কলেজের ৩ জন ল্যাব এ্যাসিষ্ট্যান্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্বেও জন প্রতি ২০ লাখ করে টাকা নিয়ে অন্য এলাকার প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঐ ৩ জনের নিকট থেকে ৬০ লাখ টাকা নেয়া হলেও কলেজ ফান্ডে কোন টাকা জমা হয় নি। তাই এই নিয়োগ গোপন রাখতে স্থানীয়ভাবেযাতে জানাজানি না হয় সে কারনে অধ্যক্ষের পরামর্শে ঐ ল্যাব এ্যসিষ্ট্যান্টরা নিয়মিত কলেজে আসেননা। কিন্তু তাদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা হয়।

অপরদিতে ২০২০ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের অটোপাশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের নিকট থেকে পরীক্ষার ফি, কেন্দ্র ফি ইত্যাদি বাবদ যে টাকা নেয়া হয়েছে বোর্ড ফেরত দিলেও সেই টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেয়া হয় নি। এ বাবদ অধ্যক্ষ মোট ৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ ছাড়াও কলেজের ছাত্রীদের টিউশন ফি’র ২ লক্ষ টাকা পুরোপুরি আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কলেজের ৭৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অঅনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে ভর্তি, সেশন চার্জ, পরীক্ষার ফরম ফিলাপ বাবদ টাকা রশিদের মাধ্যমে আদায় করা হলেও তার অর্ধেক টাকা জমা দেখানো হয়েছে।

অর্ধেক টাকা অধ্যক্ষের পকেটে চলে গেছে। কলেজের কোন টাকা ব্যাংকের হিসাবে জমা না করে নিজের কাছে রেখে ইচ্ছামত খরচ করে থাকেন।

এ ছাড়াও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী ১৬ বছর পূর্তির ফলে সরকারী যে উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদান কার হয় সে ক্ষেত্রেও টাকার বিনিময়ে ব্যপক অনিয়ম করেছেন।

কিছু কিছু শিক্ষকের নিকট থেকে টাকার বিনিময়ে উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদানের জন্য রেজুলেশন গ্রহণ করলেও কলেজের ৬ জন প্রদর্শক, ২ জন অফিস সহকারী, ১ জন গ্রন্থাগারিক এবং ৯ জন অফিস সহায়কের উচ্চতর স্কেল প্রদানে কোন রেজুলেশন গ্রহনের প্রক্রিয়া গ্রহন করেন নি। এর ফলে এসব কর্মচারী তাঁদের উচ্চতর স্কেল পাওনা থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন।

এ ব্যপারে জানতে পার পার দুই দিন কলেজে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। এ ছাড়াও তাঁর ব্যবহৃত ০১৭১৭৩৬৩৪০৮ নম্বর মোবাইল ফোনে গত এক সপ্তাহ ধরে কল করেও তিনি সে কল রিসিভ করেন নি। এই দুই দিন কলেজে গিয়ে সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত ল্যাব এ্যাসিণ্ট্যান্ট ওমর ফারুখ ও আতিকুর রহমানকে পাওয়া যায় নি।