ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বেপরোয়া হয়ে ওঠে ছিনতাইকারীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৮:২৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • / 278
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৩১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১। বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফট্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

র‍্যাব বলছে, গ্রেপ্তাররা রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ওৎপেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, বাসযাত্রী, মটরসাইকেল আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাই কাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করে না।

র‍্যাব জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই চক্রের তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় দীর্ঘদিন পরে ব্যবসা বাণিজ্য সরগরম হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় পবিত্র ঈদু-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কিছু সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও কিশোর গ্যাং চক্রের তৎপরতা বেড়েছে।

লেফট্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ঈদু-উল-আযহা উপলক্ষ্যে পশু হাটে কোরবাণীর পশু কেনার জন্য নগদ টাকা নিয়ে যাতায়াত চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র নিরীহ পথচারীদের সর্বস্ব ছিনতাই করছে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা নিরীহ মানুষকে অস্ত্রাঘাত করে, প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেল, গাড়ী, টাকা পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি ছিনতাই করে জন জীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ জুলাই সন্ধা থেকে ৭ জুলাই ভোর পর্যন্ত পর্যন্ত র‌্যাব-১ এর কয়েকটি আভিযানিক দল সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য মো. বোরহান (২৪), মো. ইমরান হোসেন (২৫), তুহিন (২২), মো. জাহিদুল ইসলাম মাহমুদ (২০), মো. শিপন হুসাইন (২৩), মো. আশিকুর রহমান আশিক (২১), মো. শাহ জালাল (২৬), মো. মিরাজ (২১), নুর নবী (২২), মো. আশিক (২০), মো. মেহেদী হাসান হৃদয় (২০), মো. শাকিল (২০), মো. আকবর আলী (২৪), মো. রাসেল খা (২৪) মো. রাসেল ব্যাপারী (২৮), মো. সুজন তালুকদার (২২)।

এছাড়াও আরও গ্রেপ্তার করা হয়- মো. বাবুল (২৪), টুকু মিয়া (২২), আব্দুল্লাহ (২২) ফয়সাল (২৩), জহরুল মিয়া (২০), মো. পারভেজ (২৭), মো. আসিফ (২২) মো. নিশান উদ্দিন (৩০), জুয়েল (৩৫), মো. বিজয় হোসেন (১৯), আবুল কাশেম (৪০), মো. শফিক উদ্দিন (২৫), মো. রানা (২৮), মো. মাহবুব (২৬) এবং মো. শাকিল শেখকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ৮ টি বিষাক্ত মলম, ১ টি কুড়াল সাদৃশ্য দেশীয় অস্ত্র, ২ টি লোহার রড, ১১ টি ছুরি, ৩ টি লোহা কাটার হ্যাকসো ব্লেড, ১০ টি চাকু, ৪ টি গামছা, ছিনতাইকৃত ১৮ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব এর অধিনায়ক জানায়, তারা কয়েকটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে আসছে। গ্রেপ্তাররা রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ওৎপেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, বাসযাত্রী, মটরসাইকেল আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে সর্বস্ব লুটে নেয়।

তিনি বলেন, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাই কাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করে না বলেও জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব এর সিও জানান, গুলশান এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. বোরহান তার সহযোগী ৩ জন। বনানী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা শিপন হুসাইন ও নূর নবী এবং তাদের সহযোগী ৫ জন। ভাটারা এলাকার একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা শাকিল তার সহযোগী ৩ জন এবং অন্য একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা সুজন তালুকদার তার সহযোগী ২ জন।

এছাড়াও বাড্ডা এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগী ২ জন। টঙ্গী এলাকার একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ তার সহযোগী ৩ জন এবং অন্য একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা পারভেজ তার সহযোগী ২ জন। তুরাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা রানা তার সহযোগী ২ জন।

র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফট্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, তাদের নির্দেশে ছিনতাই চক্রের প্রতিটি সদস্য ওইসব এলাকায় ছিনতাই করে থাকে। ছিনতাই চক্রের সবাই স্বল্প শিক্ষিত ও অশিক্ষিত। তারা প্রত্যেকে মাদকাসক্ত ও দীর্ঘ দিন ধরে ড্যান্ডি, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবন করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।

গ্রেপ্তাররা কেউ কেউ বাস/লেগুনার হেলপার, ওয়ার্কসপের শ্রমিক, দিনমুজুর, টোকাই, মাছ/কাঁচামালের আড়তে কাজ করে। তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছিনতাই করে আসছে বলেও স্বীকার করে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বেপরোয়া হয়ে ওঠে ছিনতাইকারীরা

আপডেট : ০৮:২৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ৩১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১। বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফট্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

র‍্যাব বলছে, গ্রেপ্তাররা রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ওৎপেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, বাসযাত্রী, মটরসাইকেল আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাই কাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করে না।

র‍্যাব জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই চক্রের তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় দীর্ঘদিন পরে ব্যবসা বাণিজ্য সরগরম হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় পবিত্র ঈদু-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কিছু সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও কিশোর গ্যাং চক্রের তৎপরতা বেড়েছে।

লেফট্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ঈদু-উল-আযহা উপলক্ষ্যে পশু হাটে কোরবাণীর পশু কেনার জন্য নগদ টাকা নিয়ে যাতায়াত চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র নিরীহ পথচারীদের সর্বস্ব ছিনতাই করছে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা নিরীহ মানুষকে অস্ত্রাঘাত করে, প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেল, গাড়ী, টাকা পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি ছিনতাই করে জন জীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ জুলাই সন্ধা থেকে ৭ জুলাই ভোর পর্যন্ত পর্যন্ত র‌্যাব-১ এর কয়েকটি আভিযানিক দল সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য মো. বোরহান (২৪), মো. ইমরান হোসেন (২৫), তুহিন (২২), মো. জাহিদুল ইসলাম মাহমুদ (২০), মো. শিপন হুসাইন (২৩), মো. আশিকুর রহমান আশিক (২১), মো. শাহ জালাল (২৬), মো. মিরাজ (২১), নুর নবী (২২), মো. আশিক (২০), মো. মেহেদী হাসান হৃদয় (২০), মো. শাকিল (২০), মো. আকবর আলী (২৪), মো. রাসেল খা (২৪) মো. রাসেল ব্যাপারী (২৮), মো. সুজন তালুকদার (২২)।

এছাড়াও আরও গ্রেপ্তার করা হয়- মো. বাবুল (২৪), টুকু মিয়া (২২), আব্দুল্লাহ (২২) ফয়সাল (২৩), জহরুল মিয়া (২০), মো. পারভেজ (২৭), মো. আসিফ (২২) মো. নিশান উদ্দিন (৩০), জুয়েল (৩৫), মো. বিজয় হোসেন (১৯), আবুল কাশেম (৪০), মো. শফিক উদ্দিন (২৫), মো. রানা (২৮), মো. মাহবুব (২৬) এবং মো. শাকিল শেখকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ৮ টি বিষাক্ত মলম, ১ টি কুড়াল সাদৃশ্য দেশীয় অস্ত্র, ২ টি লোহার রড, ১১ টি ছুরি, ৩ টি লোহা কাটার হ্যাকসো ব্লেড, ১০ টি চাকু, ৪ টি গামছা, ছিনতাইকৃত ১৮ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব এর অধিনায়ক জানায়, তারা কয়েকটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে আসছে। গ্রেপ্তাররা রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ওৎপেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, বাসযাত্রী, মটরসাইকেল আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে সর্বস্ব লুটে নেয়।

তিনি বলেন, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাই কাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করে না বলেও জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব এর সিও জানান, গুলশান এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো. বোরহান তার সহযোগী ৩ জন। বনানী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা শিপন হুসাইন ও নূর নবী এবং তাদের সহযোগী ৫ জন। ভাটারা এলাকার একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা শাকিল তার সহযোগী ৩ জন এবং অন্য একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা সুজন তালুকদার তার সহযোগী ২ জন।

এছাড়াও বাড্ডা এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগী ২ জন। টঙ্গী এলাকার একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ তার সহযোগী ৩ জন এবং অন্য একটি ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা পারভেজ তার সহযোগী ২ জন। তুরাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা রানা তার সহযোগী ২ জন।

র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফট্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, তাদের নির্দেশে ছিনতাই চক্রের প্রতিটি সদস্য ওইসব এলাকায় ছিনতাই করে থাকে। ছিনতাই চক্রের সবাই স্বল্প শিক্ষিত ও অশিক্ষিত। তারা প্রত্যেকে মাদকাসক্ত ও দীর্ঘ দিন ধরে ড্যান্ডি, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবন করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।

গ্রেপ্তাররা কেউ কেউ বাস/লেগুনার হেলপার, ওয়ার্কসপের শ্রমিক, দিনমুজুর, টোকাই, মাছ/কাঁচামালের আড়তে কাজ করে। তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছিনতাই করে আসছে বলেও স্বীকার করে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।