ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় রবিউলের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ!

মাগুরা প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৭:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
  • / 310

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নে সাবেক স্থানীয় চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম-এর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে গত ১৭ জুলাই খুলনা ডিআইজি বরাবর অভিযোগ করেছেন একজন স্থায়ীয় বাসিন্দা শরীফ মো. আবুল্লাহ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সামাজিক জীবন ব্যবস্থা ভালোই চলছিল। বর্তমান ওসি (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পরই শুরু হয় বেপরোয়া মাদক ব্যবসা ও জুয়া খেলা। এছাড়াও লাশবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের রবিউল ইসলামের সাথে যোগসাজসে ইয়াবা, হেরোইন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি ২০১৮ সালে রবিউলকে মাদকসহ যশোর থানা পুলিশ আটক করে। সে সময় ৬ মাসের জেল হয়। মামলাটি যশোর জজ কোর্টে চলমান রয়েছে। বর্তমানে ইয়াবা ও হিরোইন ব্যবসার জন্য যশোর বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে বেশ কিছু হাত বদল হয়ে ওসি মো. আশরাফুলের সহযোগিতায় মহম্মদপুর হয়ে পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নে প্রবেশ করে। গভীর রাতে চরযশোবন্তপুর গ্রামের পূর্ব পাশে মধুমতি নদীতে নৌকার উপর ইয়াবা ও হেরোইন চালান বন্টন হয়।

যখনই মহম্মদপুর থানায় এ সকল খবর পাঠানো হয় তখনই মো. আশরাফুল ইসলাম ইয়াবা ব্যবসায়ী রবিউলকে ফোন করে জানিয়ে দেয়। ফলে লোক দেখানো পুলিশি অভিযানের কারণে এলাকায় মাদকসেবী বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যবসা বন্ধে কেউ বাধা দিলে ওসি সাহেব তাদের বিরুদ্ধে সামান্য ছুতো পেলেই বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা বস্তু করে তার কণ্ঠরোধ করে দিচ্ছে।

তিনি আরো অভিযোগে বলেন, ‘আমার নির্দোষ ছোট ভাই শরীফ মো. আলিমকে শুধুমান মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে।

এই বিষয়ে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি বিভাগ থেকে এমন একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে ওসি তদন্ত মো. আশরাফুল ইসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাগুরায় রবিউলের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ!

আপডেট : ০৭:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নে সাবেক স্থানীয় চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম-এর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে গত ১৭ জুলাই খুলনা ডিআইজি বরাবর অভিযোগ করেছেন একজন স্থায়ীয় বাসিন্দা শরীফ মো. আবুল্লাহ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সামাজিক জীবন ব্যবস্থা ভালোই চলছিল। বর্তমান ওসি (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পরই শুরু হয় বেপরোয়া মাদক ব্যবসা ও জুয়া খেলা। এছাড়াও লাশবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের রবিউল ইসলামের সাথে যোগসাজসে ইয়াবা, হেরোইন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি ২০১৮ সালে রবিউলকে মাদকসহ যশোর থানা পুলিশ আটক করে। সে সময় ৬ মাসের জেল হয়। মামলাটি যশোর জজ কোর্টে চলমান রয়েছে। বর্তমানে ইয়াবা ও হিরোইন ব্যবসার জন্য যশোর বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে বেশ কিছু হাত বদল হয়ে ওসি মো. আশরাফুলের সহযোগিতায় মহম্মদপুর হয়ে পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নে প্রবেশ করে। গভীর রাতে চরযশোবন্তপুর গ্রামের পূর্ব পাশে মধুমতি নদীতে নৌকার উপর ইয়াবা ও হেরোইন চালান বন্টন হয়।

যখনই মহম্মদপুর থানায় এ সকল খবর পাঠানো হয় তখনই মো. আশরাফুল ইসলাম ইয়াবা ব্যবসায়ী রবিউলকে ফোন করে জানিয়ে দেয়। ফলে লোক দেখানো পুলিশি অভিযানের কারণে এলাকায় মাদকসেবী বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যবসা বন্ধে কেউ বাধা দিলে ওসি সাহেব তাদের বিরুদ্ধে সামান্য ছুতো পেলেই বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা বস্তু করে তার কণ্ঠরোধ করে দিচ্ছে।

তিনি আরো অভিযোগে বলেন, ‘আমার নির্দোষ ছোট ভাই শরীফ মো. আলিমকে শুধুমান মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে।

এই বিষয়ে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি বিভাগ থেকে এমন একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে ওসি তদন্ত মো. আশরাফুল ইসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।