ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রূপগঞ্জে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 215
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রবাসীকে কুপিয়ে ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাতদলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতদের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। বুধবার ভোরে রূপগঞ্জসহ আশ-পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী প্রবাসী সাইফুল ইসলাম নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার বাগিবাড়ি এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পটুয়াখালি জেলার গলাচিপা উপজেলার নয়া ভান্দুনী এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তানজীদ হোসেন, বরিশাল জেলার ফকিরহাট উপজেলার গাবতলী এলাকার স্বপন শেখের ছেলে সজল মিয়া, বরিশাল জেলার কাজিরহাট উপজেলার আন্দার সানিক এলাকার সামসুল হক খলিফার ছেলে সোহাগ হোসেন, বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার আলিমাবাদ এলাকার শওকত হোসেনের ছেলে মিরাজ হোসেন, শরীয়তপুর জেলার শখিপুর উপজেলার মোল্লা বাজার পেদাকান্দি এলাকার মৃত নূর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কাশিপুর এলাকার রফিক ফকিরের ছেলে বাবুল, ও বরগুনা জেলার সদর উপজেলার খাজুরতলা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে রাসেল।
প্রবাসী সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে কাজ করে আসছেন। গত সোমবার (৩০ আগস্ট) মধ্যে রাতে সে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসেন। এরপর এয়ারপোর্ট থেকে একটি মাইক্রোবাস যোগে গ্রামের বাড়ি নরসিংদির মনোহরদীতে যাওয়ার পথে পূর্বাচল তিন’শ ফিট পৌছুলে পিছন থেকে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি পিকআপে থাকা অজ্ঞাত ৮/৯ জন ডাকাত দল ছুরি, চাপাতি, রামদাসহ তাদের মাইক্রোবাসটি গতিরোধ করে প্রথমে গাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট, নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করতে থাকে।
এসময় সাইফুল ইসলাম বাধা প্রদান করলে ডাকাতদের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে তার মাথার উদ্দেশ্যে কুপ দেয়। পরে সেই কুপ তার হাতের কব্জিতে লাগে। এসময় মাইক্রোবাসের চালক স¦পন মিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। পরে ডাকাতরা পিকআপে করে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে চালক স্বপন মিয়া ৯৯৯ ফোন দিলে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলামের বাবা সুরুজ আলী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে রূপগঞ্জসহ ঢাকার কেরানিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। বুধবার ভোরে পুলিশ ওই ৭ ডাকাতকে গ্রেফতারসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার ও ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন,  এরা আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সদস্য। অভিনব কায়দায় তারা এয়ারপোর্ট থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার পথে প্রবাসীদের ব্যবহৃত গাড়ি গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। এছাড়া এদের বিরুদ্ধে কেরানিগঞ্জ থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
 এ ডাকাতির ঘটনায় ৮ সদস্য অংশ গ্রহন করে। এদের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হলেও এক জনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রূপগঞ্জে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেফতার

আপডেট : ০১:১৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রবাসীকে কুপিয়ে ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাতদলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতদের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। বুধবার ভোরে রূপগঞ্জসহ আশ-পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী প্রবাসী সাইফুল ইসলাম নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার বাগিবাড়ি এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পটুয়াখালি জেলার গলাচিপা উপজেলার নয়া ভান্দুনী এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তানজীদ হোসেন, বরিশাল জেলার ফকিরহাট উপজেলার গাবতলী এলাকার স্বপন শেখের ছেলে সজল মিয়া, বরিশাল জেলার কাজিরহাট উপজেলার আন্দার সানিক এলাকার সামসুল হক খলিফার ছেলে সোহাগ হোসেন, বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার আলিমাবাদ এলাকার শওকত হোসেনের ছেলে মিরাজ হোসেন, শরীয়তপুর জেলার শখিপুর উপজেলার মোল্লা বাজার পেদাকান্দি এলাকার মৃত নূর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কাশিপুর এলাকার রফিক ফকিরের ছেলে বাবুল, ও বরগুনা জেলার সদর উপজেলার খাজুরতলা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে রাসেল।
প্রবাসী সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে কাজ করে আসছেন। গত সোমবার (৩০ আগস্ট) মধ্যে রাতে সে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসেন। এরপর এয়ারপোর্ট থেকে একটি মাইক্রোবাস যোগে গ্রামের বাড়ি নরসিংদির মনোহরদীতে যাওয়ার পথে পূর্বাচল তিন’শ ফিট পৌছুলে পিছন থেকে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি পিকআপে থাকা অজ্ঞাত ৮/৯ জন ডাকাত দল ছুরি, চাপাতি, রামদাসহ তাদের মাইক্রোবাসটি গতিরোধ করে প্রথমে গাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট, নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করতে থাকে।
এসময় সাইফুল ইসলাম বাধা প্রদান করলে ডাকাতদের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে তার মাথার উদ্দেশ্যে কুপ দেয়। পরে সেই কুপ তার হাতের কব্জিতে লাগে। এসময় মাইক্রোবাসের চালক স¦পন মিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। পরে ডাকাতরা পিকআপে করে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে চালক স্বপন মিয়া ৯৯৯ ফোন দিলে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলামের বাবা সুরুজ আলী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে রূপগঞ্জসহ ঢাকার কেরানিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। বুধবার ভোরে পুলিশ ওই ৭ ডাকাতকে গ্রেফতারসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার ও ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন,  এরা আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সদস্য। অভিনব কায়দায় তারা এয়ারপোর্ট থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার পথে প্রবাসীদের ব্যবহৃত গাড়ি গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। এছাড়া এদের বিরুদ্ধে কেরানিগঞ্জ থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
 এ ডাকাতির ঘটনায় ৮ সদস্য অংশ গ্রহন করে। এদের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হলেও এক জনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।