ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘দেশের বেশিরভাগ প্রকল্পই বিদেশী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
  • / 93

মহামারি ধকল কাটিয়ে উঠে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হবার সাথে সাথে নির্মাণখাতেও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন এখাতের শিল্প্যোদ্যোক্তারা। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রির অব্যাহত দাম বৃদ্ধিতে উল্টো বিপাকে পড়েছেন।বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বলছে, গত ৪ থেকে ৫ মাসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রড, পাথর, ইট, বালু, থাইগ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম পণ্য, এসএস পাইপ, ইনডোর ফিটিংসসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীও। ফলে লোকসানে পড়তে হচ্ছে নির্মাণ খাতের উদ্যোক্তাদের।

এমন অবস্থায় করনীয় ঠিক করতে গতকাল শনিবার (২৭ নভেম্বর) বৈঠকে বসে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র নির্মাণ খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি।সভায় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধির কারণে, আগে থেকে করা চুক্তির মূল্য অনুযায়ী নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও অনেক সময়ই দরপত্র জমা দেয়ার পর আগ্রিম কর ও ভ্যাটের হারসহ সরকারের আর্থিক নীতিতে পরিবর্তন করা হয়।

এসব ক্ষেত্রে সরকারি দরপত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মূল্য সমন্বয়ের বিধান বা প্রাইস ভ্যারিফিকেশন ক্লজ থাকা উচিৎ বলে মনে করে এফবিসিসিআই’র নির্মাণ খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। নির্ধারিত সময়ের ৫৬ দিন পার হলে, দেরিতে টাকা পরিশোধের বেলায় সুদ আরোপের প্রস্তাব করেন বক্তারা।

একই সঙ্গে সরকারি অবকাঠামো নির্মাণে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণকে নিরুৎসাহীত করার তাগিদ দেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা।এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, দেশের বেশিরভাগ প্রকল্পই বিদেশী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ যেহেতু উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছে, তাই স্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর দরকার। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির জন্য এফবিসিসিআই সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. আমিনুল হক শামীম, রেজাউল করিম রেজনু, পরিচালক এবং নির্মাণ খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ প্রকৌশলী গোলাম মো. আলমগীর, কমিটির চেয়ারম্যান ও স্পেকট্রা লিমিটেড এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খান মো. আফতাবউদ্দীন, কো-চেয়ারম্যান ডিয়েনকো লিমিটেড এর এমডি প্রকৌশলী এস.এম খোরশেদ আলম, ডিবিএল ইনফ্রাস্ট্রাকচার লি. এর এমডি মো. আব্দুল জব্বার, স্টারলাইফ সার্ভিসেস লি. এর এমডি প্রকৌশলী শফিকুল হক তালুকদার, জেমস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লি. এর এনায়েত উল্লাহ সিদ্দিকী এবং কমিটির সদস্য ও এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এর সিইও প্রকৌশলী রবিউল আলম, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লি. এর এমডি রিজওয়ান মুস্তাফিজ, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যাডভাইজরস লি. এর এমডি প্রকৌশলী সাগর কৃষ্ণ চক্রবর্তী, এসএআরএম অ্যাসোসিয়েশনস লি. এর পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী এসকে. মাসুম মো. সালাহউদ্দীন, নেক্সট স্পেসেস লি. এর এমডি বিমল চন্দ্র রায় ও ফিউচার ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট লি. এর সিইও ক্যাপ্টেন হাসিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘দেশের বেশিরভাগ প্রকল্পই বিদেশী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে’

আপডেট : ১২:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

মহামারি ধকল কাটিয়ে উঠে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হবার সাথে সাথে নির্মাণখাতেও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন এখাতের শিল্প্যোদ্যোক্তারা। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রির অব্যাহত দাম বৃদ্ধিতে উল্টো বিপাকে পড়েছেন।বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বলছে, গত ৪ থেকে ৫ মাসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রড, পাথর, ইট, বালু, থাইগ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম পণ্য, এসএস পাইপ, ইনডোর ফিটিংসসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীও। ফলে লোকসানে পড়তে হচ্ছে নির্মাণ খাতের উদ্যোক্তাদের।

এমন অবস্থায় করনীয় ঠিক করতে গতকাল শনিবার (২৭ নভেম্বর) বৈঠকে বসে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র নির্মাণ খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি।সভায় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধির কারণে, আগে থেকে করা চুক্তির মূল্য অনুযায়ী নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও অনেক সময়ই দরপত্র জমা দেয়ার পর আগ্রিম কর ও ভ্যাটের হারসহ সরকারের আর্থিক নীতিতে পরিবর্তন করা হয়।

এসব ক্ষেত্রে সরকারি দরপত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মূল্য সমন্বয়ের বিধান বা প্রাইস ভ্যারিফিকেশন ক্লজ থাকা উচিৎ বলে মনে করে এফবিসিসিআই’র নির্মাণ খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। নির্ধারিত সময়ের ৫৬ দিন পার হলে, দেরিতে টাকা পরিশোধের বেলায় সুদ আরোপের প্রস্তাব করেন বক্তারা।

একই সঙ্গে সরকারি অবকাঠামো নির্মাণে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণকে নিরুৎসাহীত করার তাগিদ দেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা।এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, দেশের বেশিরভাগ প্রকল্পই বিদেশী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ যেহেতু উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছে, তাই স্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর দরকার। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির জন্য এফবিসিসিআই সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. আমিনুল হক শামীম, রেজাউল করিম রেজনু, পরিচালক এবং নির্মাণ খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ প্রকৌশলী গোলাম মো. আলমগীর, কমিটির চেয়ারম্যান ও স্পেকট্রা লিমিটেড এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খান মো. আফতাবউদ্দীন, কো-চেয়ারম্যান ডিয়েনকো লিমিটেড এর এমডি প্রকৌশলী এস.এম খোরশেদ আলম, ডিবিএল ইনফ্রাস্ট্রাকচার লি. এর এমডি মো. আব্দুল জব্বার, স্টারলাইফ সার্ভিসেস লি. এর এমডি প্রকৌশলী শফিকুল হক তালুকদার, জেমস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লি. এর এনায়েত উল্লাহ সিদ্দিকী এবং কমিটির সদস্য ও এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এর সিইও প্রকৌশলী রবিউল আলম, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লি. এর এমডি রিজওয়ান মুস্তাফিজ, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যাডভাইজরস লি. এর এমডি প্রকৌশলী সাগর কৃষ্ণ চক্রবর্তী, এসএআরএম অ্যাসোসিয়েশনস লি. এর পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী এসকে. মাসুম মো. সালাহউদ্দীন, নেক্সট স্পেসেস লি. এর এমডি বিমল চন্দ্র রায় ও ফিউচার ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট লি. এর সিইও ক্যাপ্টেন হাসিব।