বাজারে কৃত্রিম সংকট, বেড়েছে চালের দাম
- আপডেট : ০১:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
- / 128
পাইকারদের ভাষ্যমতে, ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে দুই মাস ধরে চাল আমদানি বন্ধ রেখেছে সরকার। এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন আমিদানিকারকরা। আগে আমদানি করা চাল এখন বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। প্রচুর মজুত থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানিকৃত ৫০ কেজির বস্তা চালের দাম ৩০০ টাকা বাড়িয়েছেন আমিদানিকারকরা।
আমদানিকারদের সরকার চাল আমদানির জন্য সর্বশেষ অনুমতি দেয় চলতি বছরের ২৫ আগস্ট। সেসময় ৪০০ আমদানিকারককে সাড়ে ১৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এসব চাল আমদানি শেষ করারও নির্দেশনা দেয়া হয়। ৩১ অক্টোবর থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ করে দেয়া হয়। আমদানি বন্ধের আগে প্রচুর চাল আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চালের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে বাংলাদেশ মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেএম লায়েক আলী বলেন, নতুন মৌসুমে ধান-চাল বাজারে এলেও সরবরাহ বাড়েনি। আমদানিকৃত ভারতীয় চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারে দামে প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলসহ ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে।
কোন চালের বস্তায় কত দাম বেড়েছে
খাতুনগঞ্জের চাক্তাই বাণিজ্যিক এলাকার বিভিন্ন আড়তে দেখা গেছে, স্বর্ণা সেদ্ধ চালের বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ১০০ টাকা, মিনিকেট সেদ্ধ মানভেদে ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, পাইজাম সেদ্ধ চাল ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, কাজলতা সেদ্ধ ২০০ টাকা বেড়ে দুই হাজার ৭০০ টাকা, জিরাশাইল সেদ্ধ ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ১০০ টাকা।
অপরদিকে, আতপ চালের মধ্যে মিনিকেট বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৭০০ টাকা, বেতি সেদ্ধ ২০০ টাকা বেড়ে মানভেদে দুই হাজার ৩০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, ইরি আতপ ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বস্তাপ্রতি এক হাজার ৯৫০ টাকা, কাটারি আতপ ৩০০ টাকা বেড়ে তিন হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে পাঁচ-ছয় টাকা।