কাগজপত্র ঠিক থাকলে ১৫ দিনে আইপিও অনুমোদন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:০৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 138
আইপিওতে আসার ক্ষেত্রে সব কাগজপত্র এবং আর্থিক হিসাব ঠিক থাকলে দুই সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদন দেয়া হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এ তথ্য জানান।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কতৃক আয়োজিত বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন। রাজধানীর নিকুঞ্জে অবস্থিত ডিএসই টাওয়ারে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শিল্পোদ্যোক্তাদের আইপিও অনুমোদনে দীর্ঘ সময় লাগে বিপরীতে ব্যাংক থেকে দ্রুত টাকা পাওয়া যায় এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইপিওর জন্য কী কী ধরনের কাগজপত্র লাগে, তার একটি চেকলিস্ট আছে। তারপরও দেখা যায় অনেক কোম্পানির আইপিও আবেদনে সব কাগজপত্র থাকে না। আবার আর্থিক যে হিসাব দেওয়া হয়, সেখানেও নানা ধরনের সমস্যা থাকে। তখন নতুন করে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এসব বিষয়ে তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ বা ব্যাখ্যা তলব করতে হয়। এতে অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু কোম্পানিগুলো যদি একবারে সব কাগজপত্র ও আর্থিক হিসাব সঠিকভাবে দেয়, তাহলে আমরা দুই সপ্তাহের মধ্যে আইপিও অনুমোদন দিয়ে দেব।’

পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির সরবরাহ বাড়াতে শিল্পোদ্যোক্তাদের আগ্রহী করে তুলতেই মূলত এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আবদুল মোনেম গ্রুপ, র‌্যাংগ্‌স গ্রুপ, উত্তরা গ্রুপ, কৃষিবিদ গ্রুপ, এ কে খান গ্রুপ, আকিজ গ্রুপ, ড্যাফোডিল ফ্যামিলিসহ বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর মালিক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ডিএসইর সভাপতি ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, পোশাকশিল্প–মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীসহ বেশ কয়েকজন শিল্পোদ্যোক্তা।

অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানিগুলো কী কী ধরনের সুবিধা পায় এবং কোম্পানি কতভাবে লাভবান হতে পারে এ–সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাগজপত্র ঠিক থাকলে ১৫ দিনে আইপিও অনুমোদন

আপডেট : ০১:০৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
আইপিওতে আসার ক্ষেত্রে সব কাগজপত্র এবং আর্থিক হিসাব ঠিক থাকলে দুই সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদন দেয়া হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এ তথ্য জানান।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কতৃক আয়োজিত বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন। রাজধানীর নিকুঞ্জে অবস্থিত ডিএসই টাওয়ারে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শিল্পোদ্যোক্তাদের আইপিও অনুমোদনে দীর্ঘ সময় লাগে বিপরীতে ব্যাংক থেকে দ্রুত টাকা পাওয়া যায় এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইপিওর জন্য কী কী ধরনের কাগজপত্র লাগে, তার একটি চেকলিস্ট আছে। তারপরও দেখা যায় অনেক কোম্পানির আইপিও আবেদনে সব কাগজপত্র থাকে না। আবার আর্থিক যে হিসাব দেওয়া হয়, সেখানেও নানা ধরনের সমস্যা থাকে। তখন নতুন করে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এসব বিষয়ে তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ বা ব্যাখ্যা তলব করতে হয়। এতে অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু কোম্পানিগুলো যদি একবারে সব কাগজপত্র ও আর্থিক হিসাব সঠিকভাবে দেয়, তাহলে আমরা দুই সপ্তাহের মধ্যে আইপিও অনুমোদন দিয়ে দেব।’

পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির সরবরাহ বাড়াতে শিল্পোদ্যোক্তাদের আগ্রহী করে তুলতেই মূলত এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আবদুল মোনেম গ্রুপ, র‌্যাংগ্‌স গ্রুপ, উত্তরা গ্রুপ, কৃষিবিদ গ্রুপ, এ কে খান গ্রুপ, আকিজ গ্রুপ, ড্যাফোডিল ফ্যামিলিসহ বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর মালিক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ডিএসইর সভাপতি ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, পোশাকশিল্প–মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীসহ বেশ কয়েকজন শিল্পোদ্যোক্তা।

অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানিগুলো কী কী ধরনের সুবিধা পায় এবং কোম্পানি কতভাবে লাভবান হতে পারে এ–সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার।