এক যুগে দুই কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:২৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / 137
গত এক যুগে দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমেছে। এই সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ।

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মন্ত্রী বলেন, গত এক যুগে দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্যের হার অর্ধেক কমেছে। এই সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ। মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে চার গুণ বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার ছাড়িয়েছে। শিক্ষার হার ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ স্বাধীনতার পর জাতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বড় অর্জন বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল আরো বলেন, ‘বিদায়ী ২০২১ সালটি ছিল আমাদের জন্য বিশেষ একটি বছর। এ বছরটিতে একদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি, অন্যদিকে এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়শীল দেশে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। এই ঘটনা বাঙালি জাতির গৌরবগাথায় যুক্ত হয়েছে আরেকটি নতুন অধ্যায়।

তিনি জানান, অর্থনীতির আকার ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করতে ৩৮ বছর লেগেছে। অথচ, গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির আকার চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

আমি বিশ্বাস করি, ‘অর্থনীতির আকার আগামী অর্থবছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।’

এ সময় শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রপ্তানিসহ অর্থনীতির নানা সূচকের অগ্রগতি তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পণ্য রপ্তানি ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে তিন গুণ বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে সাত গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

প্রত্যাশা করছি, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে মন্তব্য করেন মুস্তফা কামাল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এক যুগে দুই কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে

আপডেট : ১১:২৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২
গত এক যুগে দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমেছে। এই সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ।

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মন্ত্রী বলেন, গত এক যুগে দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্যের হার অর্ধেক কমেছে। এই সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ। মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে চার গুণ বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার ছাড়িয়েছে। শিক্ষার হার ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ স্বাধীনতার পর জাতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বড় অর্জন বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল আরো বলেন, ‘বিদায়ী ২০২১ সালটি ছিল আমাদের জন্য বিশেষ একটি বছর। এ বছরটিতে একদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি, অন্যদিকে এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়শীল দেশে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। এই ঘটনা বাঙালি জাতির গৌরবগাথায় যুক্ত হয়েছে আরেকটি নতুন অধ্যায়।

তিনি জানান, অর্থনীতির আকার ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করতে ৩৮ বছর লেগেছে। অথচ, গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির আকার চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

আমি বিশ্বাস করি, ‘অর্থনীতির আকার আগামী অর্থবছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।’

এ সময় শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রপ্তানিসহ অর্থনীতির নানা সূচকের অগ্রগতি তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পণ্য রপ্তানি ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে তিন গুণ বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে সাত গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

প্রত্যাশা করছি, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে মন্তব্য করেন মুস্তফা কামাল।