ব্যাংকারদের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে সময় চায় মালিকপক্ষ
- আপডেট : ০১:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
- / 201
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি আশা করেন, তাদের এ দাবি মেনে সময় বাড়ানো হবে। এছাড়া বৈঠকে আরও অংশ নেন ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) নেতারা।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে মার্চ মাস থেকেই বিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্ত মানা ব্যাংকের জন্য কঠিন। এটি ব্যাংকারদের আর্থসামাজিক অবস্থা, ব্যাংকের ভারসাম্য সব বিষয় বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও আমরা এ আবেদন জানিয়েছি। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য চমৎকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনই এ সিদ্ধান্ত মানা হলে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে।
বৈঠকের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নির্দেশনা কার্যকরে বাড়তি সময়ের চেয়েছেন ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকরা। তাদের এ দাবি ভেবে দেখা হবে। তবে সার্কুলারের বিষয়ে যেসব অস্পষ্টতা ছিলো উভয় পক্ষের আলোচনায় তা পরিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংকের শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের ২৮ হাজার টাকা এবং শিক্ষানবিশকাল শেষে ৩৯ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ করে দেয়। পাশাপাশি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ২৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে আরও বলা হয়ে হয়েছিলো এ বছরের মার্চ মাস থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছিলো, শুধু লক্ষ্য অর্জন করতে না পারার কারণে কাউকে পদোন্নতি বঞ্চিত বা চাকরিচ্যুত করা যাবে না। পরে ওই নির্দেশনা স্পষ্টীকরণে ২৫ জানুয়ারি জারি করা আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, শুধুমাত্র প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে।