রমজান মাসে বাড়বে না চালের দাম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৮:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 142
রমজান মাসে চালের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা জানান।

সচিব বলেন, রমজান উপলক্ষে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি, চালের দাম বাড়বে না। কারণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে। মার্চ মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে। চালের দাম বাড়বে না ওই সময়।

তিনি বলেন, আমরা যদি ওরকম অবস্থা দেখি তাহলে ওএমএস আরও বাড়াবো। খাদ্যের ব্যাপারে তো সরকারের কার্পণ্য নেই। খোলা বাজারে বিক্রিটা আরও বাড়াবো। যদি প্রয়োজন হয় ভোক্তার স্বার্থে সরকার চাল আমদানি করবে। তবে আমরা এখনই আমদানিতে যাচ্ছি না এই কারণে যে…কে বা কারা যেন প্রমাণ করতে চাচ্ছে এত খাদ্য উদ্বৃত্ত বলা হচ্ছে, স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হচ্ছে, তারপরও তো আমদানি চলে।

এসময় সচিব বলেন, ইউএসডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার) বলেছে আমাদের উৎপাদন ভালো, তারপর তারা বলেছে আমদানিও করতে হবে। আমরা চাচ্ছি আমদানি না করে আমরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারি, তাহলে আমরা এটা এস্টাবলিস্ট করতে পারবো, আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।

নাজমানারা খানুম বলেন, ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুত আছে। এরপরও মিলাররা আমার কাছে চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে। তার মানে কী? মোটা চালের দাম আর বাড়বে না। এটা কমেই যাবে। ধান উঠলে তো আরও কমবে। কোনো দৈব-দুর্বিপাক না হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় বোরো চাল বাজারে চলে আসবে। ফলে তো ওরকম অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা নেই।

খাদ্য সচিব আরও বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে দাম বাড়ছে। আমি মনে করি এটা কন্ট্রোল হবে সাপ্লাই (সরবরাহ) বাড়ানোর মাধ্যমে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রমজান মাসে বাড়বে না চালের দাম

আপডেট : ০৮:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
রমজান মাসে চালের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা জানান।

সচিব বলেন, রমজান উপলক্ষে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি, চালের দাম বাড়বে না। কারণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে। মার্চ মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে। চালের দাম বাড়বে না ওই সময়।

তিনি বলেন, আমরা যদি ওরকম অবস্থা দেখি তাহলে ওএমএস আরও বাড়াবো। খাদ্যের ব্যাপারে তো সরকারের কার্পণ্য নেই। খোলা বাজারে বিক্রিটা আরও বাড়াবো। যদি প্রয়োজন হয় ভোক্তার স্বার্থে সরকার চাল আমদানি করবে। তবে আমরা এখনই আমদানিতে যাচ্ছি না এই কারণে যে…কে বা কারা যেন প্রমাণ করতে চাচ্ছে এত খাদ্য উদ্বৃত্ত বলা হচ্ছে, স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হচ্ছে, তারপরও তো আমদানি চলে।

এসময় সচিব বলেন, ইউএসডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার) বলেছে আমাদের উৎপাদন ভালো, তারপর তারা বলেছে আমদানিও করতে হবে। আমরা চাচ্ছি আমদানি না করে আমরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারি, তাহলে আমরা এটা এস্টাবলিস্ট করতে পারবো, আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।

নাজমানারা খানুম বলেন, ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুত আছে। এরপরও মিলাররা আমার কাছে চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে। তার মানে কী? মোটা চালের দাম আর বাড়বে না। এটা কমেই যাবে। ধান উঠলে তো আরও কমবে। কোনো দৈব-দুর্বিপাক না হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় বোরো চাল বাজারে চলে আসবে। ফলে তো ওরকম অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা নেই।

খাদ্য সচিব আরও বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে দাম বাড়ছে। আমি মনে করি এটা কন্ট্রোল হবে সাপ্লাই (সরবরাহ) বাড়ানোর মাধ্যমে।