জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৫:১৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
  • / 154
জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজার সঙ্গে চুক্তি করেছে নবগঠিত বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড-বিএসইজেড। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১ হাজার একর জমির ওপর হবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল।

বেজা বলছে, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জাপানি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ছাড়াও প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।

বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই উন্নয়ন চুক্তি হয়। বেজার নির্বাহী সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল আজিম চৌধুরী এবং বাংলাদেশ স্পেশান ইকোমনিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাওয়াচি চুক্তিতে সই করেন।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১০০০ একর জমির ওপর জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে উঠছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া প্রায় ২০০ একরের ভূমি উন্নয়নের কাজ সমাপ্তির পথে।

প্রথমবারের মত দেশে জিটুজি ভিত্তিতে (দুই দেশের সরকারের অংশীদারিত্বে) অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে ২০১৯ সালে জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার জয়েন্ট ভেঞ্চার চুক্তি করে এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড নামে ওই নতুন কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়।

বেজার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে এ বছর। জাপান বরাবরই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সে সম্পর্কের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এ ধরনের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় যুক্ত হতে পেরেছে দুই দেশ।

বেজা বলছে, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জাপানি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ছাড়াও প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, জিটুজি ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, এ উদ্যোগ এক বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনামাত্র। একটি পরিকল্পিত জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির মাধ্যমে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটবে।

বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে জাপান সরকার অত্যন্ত আনন্দিত। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়োহো হায়াকাওয়া এবং বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের অংশীদার সুমিতোমো কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার এইস্কে নাকানিশি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে

আপডেট : ০৫:১৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজার সঙ্গে চুক্তি করেছে নবগঠিত বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড-বিএসইজেড। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১ হাজার একর জমির ওপর হবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল।

বেজা বলছে, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জাপানি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ছাড়াও প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।

বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই উন্নয়ন চুক্তি হয়। বেজার নির্বাহী সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল আজিম চৌধুরী এবং বাংলাদেশ স্পেশান ইকোমনিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাওয়াচি চুক্তিতে সই করেন।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১০০০ একর জমির ওপর জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে উঠছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া প্রায় ২০০ একরের ভূমি উন্নয়নের কাজ সমাপ্তির পথে।

প্রথমবারের মত দেশে জিটুজি ভিত্তিতে (দুই দেশের সরকারের অংশীদারিত্বে) অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে ২০১৯ সালে জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার জয়েন্ট ভেঞ্চার চুক্তি করে এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড নামে ওই নতুন কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়।

বেজার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে এ বছর। জাপান বরাবরই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সে সম্পর্কের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এ ধরনের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় যুক্ত হতে পেরেছে দুই দেশ।

বেজা বলছে, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জাপানি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ছাড়াও প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, জিটুজি ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, এ উদ্যোগ এক বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনামাত্র। একটি পরিকল্পিত জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির মাধ্যমে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটবে।

বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে জাপান সরকার অত্যন্ত আনন্দিত। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়োহো হায়াকাওয়া এবং বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের অংশীদার সুমিতোমো কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার এইস্কে নাকানিশি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।