যে কারণে কমেছে নিত্যপণ্যের আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৬:২২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 181
আসন্ন রোজাকে সামনে রেখে ক্রমশ বাড়ছে নিত্যপণ্যের চাহিদা। তবে বিশ্বব্যাপী ডলার সংকট ও এলসি জটিলতায় কমছে আমদানি। এরই মধ্যে যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। চাহিদার তুলনায় পণ্য আমদানি কম হওয়ায় বেড়েছে ছোলা, ডাল, খেজুর, ভোজ্যতেল ও চিনির দাম।

আমদানিকারকরা জানান, বৈশ্বিক বাণিজ্যে মন্দার কারণে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং এলসি জটিলতায় এসব পণ্য সময়মতো আমদানি করতে পারছেন না তারা। এলসি খোলার প্রক্রিয়া সহজ ও শিথিল না হলে রোজার আগে, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি সম্ভব নয় বলেও মত দেন তারা।

আমদানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা জানান, বাজারে বেশি চাহিদায় থাকা পণ্যের আমদানিতে সময় লাগছে এক থেকে দেড় মাস। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো জরুরি পণ্যের এলসি খোলায় পাশে না দাঁড়ালে পণ্যের বাড়তি দাম গুনতে হতে পারে ভোক্তাদের।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। যা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মুসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দামও। এগুলোর পাশপাশি অস্থির মসলার বাজারও।

বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দাম বেড়েছে টিসিবির কোনো কোনো পণ্যেরও। তবে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রমজানের আগে ও মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীর কার্ডধারীদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত দামে দেওয়া হবে ছোলা ও খেজুর।

রোজায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে ঋণপত্র খোলায় সহায়তার বিকল্প দেখছেন না অর্থনীতিবীদ মাহফুব কবির। নয়তো নিত্যপণ্যের অস্বাভাকি দাম বৃদ্ধির শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।

রমজানের বেশিরভাগ পণ্যই আমদানি নির্ভর। তাই এলসি সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসব পণ্যের দাম সহনীয় রাখার দাবি করেন ভোক্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যে কারণে কমেছে নিত্যপণ্যের আমদানি

আপডেট : ০৬:২২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
আসন্ন রোজাকে সামনে রেখে ক্রমশ বাড়ছে নিত্যপণ্যের চাহিদা। তবে বিশ্বব্যাপী ডলার সংকট ও এলসি জটিলতায় কমছে আমদানি। এরই মধ্যে যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। চাহিদার তুলনায় পণ্য আমদানি কম হওয়ায় বেড়েছে ছোলা, ডাল, খেজুর, ভোজ্যতেল ও চিনির দাম।

আমদানিকারকরা জানান, বৈশ্বিক বাণিজ্যে মন্দার কারণে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং এলসি জটিলতায় এসব পণ্য সময়মতো আমদানি করতে পারছেন না তারা। এলসি খোলার প্রক্রিয়া সহজ ও শিথিল না হলে রোজার আগে, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি সম্ভব নয় বলেও মত দেন তারা।

আমদানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা জানান, বাজারে বেশি চাহিদায় থাকা পণ্যের আমদানিতে সময় লাগছে এক থেকে দেড় মাস। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো জরুরি পণ্যের এলসি খোলায় পাশে না দাঁড়ালে পণ্যের বাড়তি দাম গুনতে হতে পারে ভোক্তাদের।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। যা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মুসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দামও। এগুলোর পাশপাশি অস্থির মসলার বাজারও।

বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দাম বেড়েছে টিসিবির কোনো কোনো পণ্যেরও। তবে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রমজানের আগে ও মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীর কার্ডধারীদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত দামে দেওয়া হবে ছোলা ও খেজুর।

রোজায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে ঋণপত্র খোলায় সহায়তার বিকল্প দেখছেন না অর্থনীতিবীদ মাহফুব কবির। নয়তো নিত্যপণ্যের অস্বাভাকি দাম বৃদ্ধির শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।

রমজানের বেশিরভাগ পণ্যই আমদানি নির্ভর। তাই এলসি সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসব পণ্যের দাম সহনীয় রাখার দাবি করেন ভোক্তারা।