বাড়ছে রেমিট্যান্স, চাপ কমবে রিজার্ভে
- আপডেট : ০৫:৫৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
- / 161
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১১৮ কোটি ডলারে। এর আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ৪ হাজার ৪১৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ কমেছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ডলার।
এদিকে চলতি রমজান উপলক্ষে আমদানির যে চাপ ছিল তা কমেছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বেশি করে রেমিট্যান্স আসা শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে ডলার মার্কেট স্থিতিশীল করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাই এখন থেকে রিজার্ভ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনার পরে দেশের অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিলো। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে অর্থনীতিতে আবারো চাপ বাড়তে থাকে। দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিলো। এরপর ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে এর প্রভাব পড়ে দেশের রিজার্ভে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলসহ বিভিন্ন তহবিলে দেয়া ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বাদ দিয়ে রিজার্ভের হিসাব করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এতে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সেটি কমে দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারে। এরপর প্রতি মাসেই রিজার্ভ কমেছে। আগস্টে ছিল ৩৯ দশমিক শূন্য ৬, সেপ্টেম্বরে ৩৬ দশমিক ৪৭, অক্টোবরে ৩৫ দশমিক ৮০, নভেম্বরে ৩৩ দশমিক ৭৮, ডিসেম্বরে ৩৩ দশমিক ৭৪, জানুয়ারিতে ৩২ দশমিক ২২ এবং সম্প্রতি রিজার্ভ আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
এদিকে আমদানি দায় পরিশোধ করতে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ডলার ছাড় হয়েছে। এরপরেও রিজার্ভের নিম্নমুখি প্রবনতা বজায় রয়েছে।
এদিকে ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। এর পরের মাস সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচ মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায়। এরপরে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আবারো বাড়তে থাকে রেমিট্যান্স। বছরের শুরুর এই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ১৯৬ কোটি ডলার পাঠায়। এরপরের মাসে কিছুটা কমে ১৫৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে। তবে ঈদ উপলক্ষে সদ্য বিদায়ী মার্চ মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০১ কোটি ডলারের।