খোলা চিনির কেজি ১৩৫, প্যাকেট উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৬:২৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / 167
খোলা চিনি প্রতি কেজি ১০৪ টাকা বিক্রি করার সরকারের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব‍্যবসায়ীরা। অর্থাৎ কেজিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে চিনির মূল্য ২৬ থেকে ৩১ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।

ভোক্তারা বলছেন, সরকার বলছে দাম কমিয়েছে, বাজারে দেখি ব‍্যবসায়ীরা উল্টো দাম বাড়িয়েছেন। প্রয়োজন থাকায় চিনি কিনতে হচ্ছে। সরকারের উচিত অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের একাধিক দোকানি জানান, অর্ডার দেয়ার পরও কাঙ্খিত চাহিদা অনুযায়ী চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অর্ডারের একমাস পর খুব সামন্য পাওয়া গেলে সেটার দামও খুব চওড়া। প্রতি কেজি চিনিতে ২-৩ টাকা লাভ করাও কস্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহের ক্ষেত্রেও দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সরকার খোলা চিনির দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে। এর আগে কেজি প্রতি চিনির সরকার নির্ধারিত দাম ছিল ১০৭ টাকা, কিন্তু বাজারে পাওয়া যেতো ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে।

৬ এপ্রিল চিনি দাম কমানোর পরই থেকে বড় কোম্পানি ও ব্যবসায়ীরা চিনি সরবরাহ সীমিত করে দেয়। এতে চিনির দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের চিনি কেনার সময় কোনো রসিদও দিচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির বাজারে অস্থিরতার কারণে এখন অনেকেই চিনি বিক্রি করছেন না। ফলে ঈদের আগে ৫০ কেজি চিনির বস্তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৫ হাজার ৯৫০ টাকায়। বর্তমানে এক বস্তা চিনিতে দাম বেড়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

নাম না প্রকাশের শর্তে মৌলভীবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, মিলমালিক কিংবা বড় কোম্পানি কেউ সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি করছে না। তারা পাইকারি ১২৫ টাকা কেজি চিনি বিক্রি করছে, রসিদ দিচ্ছে না। আবার সরকারের কাছে দেখাচ্ছে নির্ধারিত দামে বিক্রি করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খোলা চিনির কেজি ১৩৫, প্যাকেট উধাও

আপডেট : ০৬:২৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
খোলা চিনি প্রতি কেজি ১০৪ টাকা বিক্রি করার সরকারের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব‍্যবসায়ীরা। অর্থাৎ কেজিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে চিনির মূল্য ২৬ থেকে ৩১ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।

ভোক্তারা বলছেন, সরকার বলছে দাম কমিয়েছে, বাজারে দেখি ব‍্যবসায়ীরা উল্টো দাম বাড়িয়েছেন। প্রয়োজন থাকায় চিনি কিনতে হচ্ছে। সরকারের উচিত অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের একাধিক দোকানি জানান, অর্ডার দেয়ার পরও কাঙ্খিত চাহিদা অনুযায়ী চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অর্ডারের একমাস পর খুব সামন্য পাওয়া গেলে সেটার দামও খুব চওড়া। প্রতি কেজি চিনিতে ২-৩ টাকা লাভ করাও কস্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহের ক্ষেত্রেও দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সরকার খোলা চিনির দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে। এর আগে কেজি প্রতি চিনির সরকার নির্ধারিত দাম ছিল ১০৭ টাকা, কিন্তু বাজারে পাওয়া যেতো ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে।

৬ এপ্রিল চিনি দাম কমানোর পরই থেকে বড় কোম্পানি ও ব্যবসায়ীরা চিনি সরবরাহ সীমিত করে দেয়। এতে চিনির দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের চিনি কেনার সময় কোনো রসিদও দিচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির বাজারে অস্থিরতার কারণে এখন অনেকেই চিনি বিক্রি করছেন না। ফলে ঈদের আগে ৫০ কেজি চিনির বস্তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৫ হাজার ৯৫০ টাকায়। বর্তমানে এক বস্তা চিনিতে দাম বেড়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

নাম না প্রকাশের শর্তে মৌলভীবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, মিলমালিক কিংবা বড় কোম্পানি কেউ সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি করছে না। তারা পাইকারি ১২৫ টাকা কেজি চিনি বিক্রি করছে, রসিদ দিচ্ছে না। আবার সরকারের কাছে দেখাচ্ছে নির্ধারিত দামে বিক্রি করছেন।