বাংলাদেশকে বড় প্রকল্প দিতে পারে বিশ্বব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৬:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / 188
বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ। এ কারণেই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে, সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি বড় ধরণের প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছানোর পর, এই সফরের নানা দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে শনিবার কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর শেষে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপান থেকে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি ওয়াশিংটন ডিসির ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর ছয়দিনের এই সফর।

জাপান সফর ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সেখানে ৮টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এবং ১১টি ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।

শনিবার বিকেলে আইএমএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। বিশ্বব্যাংকে পহেলা মে সকাল ৯টায় সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট এইচ ই ডেভিড ম্যালপাসের সাথে যৌথভাবে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হবে ‘রিফ্লেকশন অন ফিফটি ইয়ার্স অব ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ’ উদযাপনের কার্যক্রম। দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য সব কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় জায়গাতেই অভিযোগ হয় যে বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি এদের টাকা ঠিকমতো ব্যবহার করা হয় না। বাংলাদেশে এর কার্যকারিতা অনেক বেশি হওয়ায় বিশ্ব ব্যাংক তা নিয়ে গর্বিত, আমরাও বিশ্বব্যাংককে নিয়ে গর্বিত। এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসবেন, আর বিশ্ব ব্যাংকও নিশ্চয়ই আমাদের সম্মান দিয়ে বড় একটি প্রকল্প প্রস্তাব পেশ করবে, যেহেতু আমরা তাদের মডেল কান্ট্রি।

রোববার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজেন পি ক্লার্কের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিন একটি উচ্চ পর্যায়ের গোল টেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের একটি সংবর্ধনায় অংশ নেবেন তিনি। আগামী ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশকে বড় প্রকল্প দিতে পারে বিশ্বব্যাংক

আপডেট : ০৬:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ। এ কারণেই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে, সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি বড় ধরণের প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছানোর পর, এই সফরের নানা দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে শনিবার কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর শেষে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপান থেকে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি ওয়াশিংটন ডিসির ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর ছয়দিনের এই সফর।

জাপান সফর ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সেখানে ৮টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এবং ১১টি ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।

শনিবার বিকেলে আইএমএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। বিশ্বব্যাংকে পহেলা মে সকাল ৯টায় সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট এইচ ই ডেভিড ম্যালপাসের সাথে যৌথভাবে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হবে ‘রিফ্লেকশন অন ফিফটি ইয়ার্স অব ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ’ উদযাপনের কার্যক্রম। দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য সব কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় জায়গাতেই অভিযোগ হয় যে বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি এদের টাকা ঠিকমতো ব্যবহার করা হয় না। বাংলাদেশে এর কার্যকারিতা অনেক বেশি হওয়ায় বিশ্ব ব্যাংক তা নিয়ে গর্বিত, আমরাও বিশ্বব্যাংককে নিয়ে গর্বিত। এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসবেন, আর বিশ্ব ব্যাংকও নিশ্চয়ই আমাদের সম্মান দিয়ে বড় একটি প্রকল্প প্রস্তাব পেশ করবে, যেহেতু আমরা তাদের মডেল কান্ট্রি।

রোববার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজেন পি ক্লার্কের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিন একটি উচ্চ পর্যায়ের গোল টেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের একটি সংবর্ধনায় অংশ নেবেন তিনি। আগামী ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।