ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৪:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / 101
সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও দাম বেড়েই চলছে পেঁয়াজের। গতকাল বুধবার ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা পর্যন্ত। মহল্লার দোকানে হাকা হচ্ছে ৯০ টাকা।

হিলি, সোনামসজিদ, বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনেকে ঋণপত্র খুলেছেন, আবার অনেকে প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ করতে পারবেন। তখন পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সারা বছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ টন হলেও প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টন আমদানি করতে হয়। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতিসহ পেঁয়াজের উৎপাদন প্রায় ৩৬ থেকে ৩৭ লাখ টন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পচে যায় বা নষ্ট হয়। আবার আমদানিকৃত পেঁয়াজেও প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতি বা নষ্ট হয় ৮ থেকে ১০ শতাংশ। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ হারে সিডি (শুল্ক কর) আরোপিত আছে।

রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যদিও বাজারে আমদানি পেঁয়াজ নেই বলে জানিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তবে দামের সত্যতা রয়েছে ঢাকার নিত্যপণ্যের বাজারে।

এদিকে পেঁয়াজের দামের বিষয়কে ভোক্তারা অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক মনে করছেন।

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বাবুল হোসেন বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারের অস্থিরতা কমে যাবে। সপ্তাহখানেক আগে এলসি করেছি। দু-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ চলে আসবে। তবে ভারতের বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে আমদানিতে জটিলতা দেখা দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

আপডেট : ০৪:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও দাম বেড়েই চলছে পেঁয়াজের। গতকাল বুধবার ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা পর্যন্ত। মহল্লার দোকানে হাকা হচ্ছে ৯০ টাকা।

হিলি, সোনামসজিদ, বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনেকে ঋণপত্র খুলেছেন, আবার অনেকে প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ করতে পারবেন। তখন পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সারা বছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ টন হলেও প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টন আমদানি করতে হয়। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতিসহ পেঁয়াজের উৎপাদন প্রায় ৩৬ থেকে ৩৭ লাখ টন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পচে যায় বা নষ্ট হয়। আবার আমদানিকৃত পেঁয়াজেও প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতি বা নষ্ট হয় ৮ থেকে ১০ শতাংশ। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ হারে সিডি (শুল্ক কর) আরোপিত আছে।

রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যদিও বাজারে আমদানি পেঁয়াজ নেই বলে জানিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তবে দামের সত্যতা রয়েছে ঢাকার নিত্যপণ্যের বাজারে।

এদিকে পেঁয়াজের দামের বিষয়কে ভোক্তারা অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক মনে করছেন।

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বাবুল হোসেন বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারের অস্থিরতা কমে যাবে। সপ্তাহখানেক আগে এলসি করেছি। দু-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ চলে আসবে। তবে ভারতের বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে আমদানিতে জটিলতা দেখা দিচ্ছে।