‘আলু বোখারায়’ আগুন
- আপডেট : ০১:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১০ মে ২০২১
- / 198
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অসাভাবিকভাবে বেড়েছে ‘আলু বোখারার’ দাম। পোলাও, বিরিয়ানি রান্নায় ব্যবহৃত এই পণ্যটি গত এক মাসে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
রাজধানীর হাতিরপুল বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বোখারা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। যেটি এক মাস আগে ছিল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
হাতিরপুল বাজারের মের্সাস দুলাল ট্রেডার্সের কর্ণধার মো. দুলাল মিয়া বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমরা এক মাস আগে আলু বোখারা প্রতি কেজি পাইকারি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় পেতাম। কিন্তু এখন এটি পাইকারি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা লাগছে। কি কারণে দাম বেড়েছে এটা আমাদের জানা নেই।
মসলা বাজার
দেশের করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে সরকারের বিধি-নিষেধে বিয়ে, বৌভাতসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান কমে গেছে। এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁয় করোনায় মানুষের যাতায়াত কম। এতে মসলার চাহিদা কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারে। এতে আসন্ন ঈদের আগে বেশির ভাগ পণ্যের পাইকারি দাম কমেছে। যার ফলে মসলার খুচরা বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। আগের দামেই বিক্রি করার পাশাপাশি কিছু কিছু পণ্যের দাম কিছুটা কমেও বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দারুচিনি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। এলাচের দাম ২১০০ টাকা থেকে ২৩০০ টাকা, যেটি আগে ছিল ২২০০ টাকা থেকে ২৬০০ টাকা। লবঙ্গ কেজি ৯০০ টাকা থেকে কমে ৮৫০ টাকা হয়েছে। প্রতি কেজি জিরা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, যা আগে যা ছিল ৩২০ টাকা।
আখরোটের দাম ৮০০ টাকা, যেটি আগে ছিল ১১০০ টাকা। কাজুবাদাম ১০০ টাকা কমে ৮৫০ টাকা, পেস্তাবাদাম ১৫০ টাকা কমে ১০০০ টাকা। চিনাবাদাম ১০ টাকা কমে ১১০ টাকা, কাঠবাদাম ১০০ টাকা কমে ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গোলমরিচ সাদা ৫০ টাকা কমে ৮৫০ টাকা এবং কালো গোলমরিচ ৫০ টাকা কমে ৪৫০ টাকা কেজি। কিসমিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে এখন দাম ২০০ টাকা কেজি। জয়ফল ১০০ টাকা কমে ১৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।