৭৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই প্রণোদনা প্যাকেজের টাকা পায়নি
- আপডেট : ১২:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
- / 193
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) ‘কোভিড-১৯ এবং বাংলাদেশে ব্যবসায় আস্থা’ শীর্ষক জরিপে ওঠে এসছে এই তথ্য। গত এপ্রিল থেকে জুনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত জুলাইয়ে ৫০১টি প্রতিষ্ঠানের ওপর এই জরিপ করা হয়। এতে সহায়তা করেছে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন।
শনিবার সকালে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জরিপের ৫ম ধাপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপের প্রক্রিয়া ও ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, জরিপে নেওয়া ২৯ শতাংশ উদ্যোক্তা কিংবা তাদের প্রতিনিধিরা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছেন। ৪৭ শতাংশ হ্যা কিংবা না কোনোটাই বলেননি। মৌনতা সম্মতির লক্ষণ হিসেবে নিলে এরাও ঘুষের শিকার বলে ধরে নেওয়া যায়। তারা হয়তো নানান দিক থেকে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই সরাসরি হ্যা বলতে চাননি। আর মাত্র ২৪ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়নি।
শিল্প কিংবা সেবা প্রতিষ্ঠানের ধরন ব্যাখ্যা করে ড. সেলিম রায়হান বলেন, ঘুষের অভিযোগ তোলা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষুদ্র-মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। মোট ৪২ শতাংশ এ ধরনের প্রতিষ্ঠান। ৩৫ শতাংশ ক্ষুদ্র আকারের প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, ঘুষের দাবিসহ একরম বিভিন্ন কারণে জরিপে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জুলাই পর্যন্ত ৭৯ শতাংশ প্রণোদন প্যাকেজের বাইরে রয়ে গেছে। অর্থাৎ মাত্র ২১ শতাংশ প্যাকেজ থেকে ঋণ সুবিধা পেয়েছে।
জরিপে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের প্রশ্ন করা হয়েছিল—তাঁরা নিজেরা (নিয়োগ কর্তা) এবং কর্মীদের কত শতাংশ টিকা পেয়েছেন? জবাবে ৬০ শতাংশই মালিক জানিয়েছেন, তাঁরা কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নিয়ে ফেলেছেন। আর কর্মীদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ২৫ শতাংশ টিকা পেয়েছেন। ৭৫ শতাংশ কর্মী টিকার একটি ডোজও পাননি। তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের প্রতি পাঁচজনে একজন মাত্র টিকা নিতে পেরেছেন। জরিপে ৬৪ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দুর্বল। ২৭ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, মোটামুটি মানের পুনরুদ্ধার হচ্ছে।