ই-কমার্সের উন্নয়নে ৪ মন্ত্রণালয় এক হয়েছি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 237
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মালিকদের জেলখানায় নেওয়া সমাধান নয় জা‌নি‌য়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ব‌লেন, ইভ্যালির মত ই কমার্স কোম্পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়গুলো। ইতিমধ্যে আমরা অবজারভেশন করছি। চার মন্ত্রণালয়ের (অর্থ, বা‌ণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র) সঙ্গে কথা বলছি। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান নির্ণয় করে তাদের কোন উন্নতি করা যায় কিনা সে বিষয়ে দেখছি।

বুধবার বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবি এর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের ই কমার্সে আস্থা উঠে যাবে কি না এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৩০ হাজারের বেশি কোম্পানি আছে। এর মধ্যে ৮টা বা ১০টা যদি খারাপ করে, তাহলে তো পুরো খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এখান থেকে একটা শিক্ষা হয়েছে। একটা নতুন আইনও হয়েছে।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী আরও ব‌লেন, কাউকে জেলখানায় পাঠিয়ে দিলে তো কোনো লাভ নেই। সে জেল খে‌টেই শেষ, এতে কো‌নো উপকার হ‌বে না।

ই-কমা‌র্সের কারণে অনেক গ্রাহকের অর্থ নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি ব‌লেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠিনভাবে অবজার‌বেশন করা হ‌ত তাহলে কিছুটা ক্ষ‌তি কাভার কর‌তে পার‌ত। এখন এ ধর‌নের সা‌জেশন আস‌ছে। এ বিষয়গু‌লো নি‌য়ে চিন্তাভাবনা করা হ‌চ্ছে।

ইভ্যালি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল অনেক বড় গ্রুপ অব কোম্পানি, কিন্তু নেতিবাচক ঘটনার কারণে তারা সরে দাঁড়িয়েছে।

নতুন নিয়মের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও জানান, আমরা নতুন নিয়ম করেছি এখন পণ্য ডেলিভারি না দিলে কোম্পানিগুলো টাকা পাবে না। ডেলিভারির পর টাকা ব্যাংক থেকে ছাড় করা হবে।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ই-কমার্সে বিনিয়োগ করে বিপাকে রয়েছেন অনেক গ্রাহক। এর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে আলোচিত ই-কমার্স ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মালিকরা জেলখানায় র‌য়ে‌ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ই-কমার্সের উন্নয়নে ৪ মন্ত্রণালয় এক হয়েছি

আপডেট : ০২:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মালিকদের জেলখানায় নেওয়া সমাধান নয় জা‌নি‌য়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ব‌লেন, ইভ্যালির মত ই কমার্স কোম্পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়গুলো। ইতিমধ্যে আমরা অবজারভেশন করছি। চার মন্ত্রণালয়ের (অর্থ, বা‌ণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র) সঙ্গে কথা বলছি। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান নির্ণয় করে তাদের কোন উন্নতি করা যায় কিনা সে বিষয়ে দেখছি।

বুধবার বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবি এর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের ই কমার্সে আস্থা উঠে যাবে কি না এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৩০ হাজারের বেশি কোম্পানি আছে। এর মধ্যে ৮টা বা ১০টা যদি খারাপ করে, তাহলে তো পুরো খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এখান থেকে একটা শিক্ষা হয়েছে। একটা নতুন আইনও হয়েছে।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী আরও ব‌লেন, কাউকে জেলখানায় পাঠিয়ে দিলে তো কোনো লাভ নেই। সে জেল খে‌টেই শেষ, এতে কো‌নো উপকার হ‌বে না।

ই-কমা‌র্সের কারণে অনেক গ্রাহকের অর্থ নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি ব‌লেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠিনভাবে অবজার‌বেশন করা হ‌ত তাহলে কিছুটা ক্ষ‌তি কাভার কর‌তে পার‌ত। এখন এ ধর‌নের সা‌জেশন আস‌ছে। এ বিষয়গু‌লো নি‌য়ে চিন্তাভাবনা করা হ‌চ্ছে।

ইভ্যালি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল অনেক বড় গ্রুপ অব কোম্পানি, কিন্তু নেতিবাচক ঘটনার কারণে তারা সরে দাঁড়িয়েছে।

নতুন নিয়মের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও জানান, আমরা নতুন নিয়ম করেছি এখন পণ্য ডেলিভারি না দিলে কোম্পানিগুলো টাকা পাবে না। ডেলিভারির পর টাকা ব্যাংক থেকে ছাড় করা হবে।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ই-কমার্সে বিনিয়োগ করে বিপাকে রয়েছেন অনেক গ্রাহক। এর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে আলোচিত ই-কমার্স ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মালিকরা জেলখানায় র‌য়ে‌ছেন।