শুটিংয়ে ফিরলেন নাবিলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • / 220
দীর্ঘদিন পর শুটিংয়ে ফিরলেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। গেল জুলাই মাসে তার কোলজুড়ে আসে কন্যা সন্তান। এরপর থেকে পুরোটা সময় মেয়ের সঙ্গেই কাটান এ অভিনেত্রী। এর আগে প্রায় ১ বছরেরও বেশি সময় কাজের বাইরে ছিলেন। অবশেষে দাঁড়ালেন ক্যামেরার সামনে।

রোববার থেকে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের অংশ নিলেন নাবিলা। শুটিং চলবে তিন দিন। বিজ্ঞাপনটি সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে চান না তিনি। নাবিলা বলেন, ‘কাজ করব ঠিক করেছি। কিন্তু খুব যে কাজ করতে পারব তা না। আমার মেয়ে এখনো ছোট। শুটিং করতে রাজি হয়েছি কারণ, আমার মেয়েকে রাখার সব ব্যবস্থা করবে ইউনিট। শুটিংয়ে আমাকে আলাদা রুম দেবে। মেয়েকে পুরো সময় দিয়েই শুটিং করব। কিন্তু এখনই পুরোদমে শুটিং করতে চাই না। বাবু একটু বড় হলেই নিয়মিত শুটিং করব। আমাকে ছাড়া সে একদমই থাকে না। তাকে বাসায় রেখে যাওয়াও অসম্ভব।’

নাবিলার জীবন আমূল বদলে দিয়েছে মালহার। মেয়েকে ঘিরেই তার সব চিন্তা। মেয়েকে নিয়ে কাটানো দিনগুলো সম্পর্কে নাবিলা বলেন, ‘আস্তে আস্তে স্যাটেল করছি। একটু একটু করে বুঝে উঠছি। প্রথম দেড় মাস অনেক কষ্ট করেছি। এখন দিন দিন মেয়েকে বুঝতে পারছি। তার একটু একটু করে বড় হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’

সৌদি আরবে বড় হয়েছেন নাবিলা। ২০০০ সালে জেদ্দা থেকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। দেশে ফেরার আট মাসের মাথায় তার বাবা মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে। ২০০৬ সাল থেকে শুরু করেন উপস্থাপনা। এরপর ধীরে ধীরে অভিনয়। ২০১৮ সালে জোবায়দুল হককে বিয়ে করেন নাবিলা। প্রায় ২০ বছরের ভালো লাগার পরিণাম এ বিয়ে। তাঁর স্বামীও জেদ্দায় থাকতেন। সেখানেই তাদের প্রথম পরিচয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শুটিংয়ে ফিরলেন নাবিলা

আপডেট : ০২:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
দীর্ঘদিন পর শুটিংয়ে ফিরলেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। গেল জুলাই মাসে তার কোলজুড়ে আসে কন্যা সন্তান। এরপর থেকে পুরোটা সময় মেয়ের সঙ্গেই কাটান এ অভিনেত্রী। এর আগে প্রায় ১ বছরেরও বেশি সময় কাজের বাইরে ছিলেন। অবশেষে দাঁড়ালেন ক্যামেরার সামনে।

রোববার থেকে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের অংশ নিলেন নাবিলা। শুটিং চলবে তিন দিন। বিজ্ঞাপনটি সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে চান না তিনি। নাবিলা বলেন, ‘কাজ করব ঠিক করেছি। কিন্তু খুব যে কাজ করতে পারব তা না। আমার মেয়ে এখনো ছোট। শুটিং করতে রাজি হয়েছি কারণ, আমার মেয়েকে রাখার সব ব্যবস্থা করবে ইউনিট। শুটিংয়ে আমাকে আলাদা রুম দেবে। মেয়েকে পুরো সময় দিয়েই শুটিং করব। কিন্তু এখনই পুরোদমে শুটিং করতে চাই না। বাবু একটু বড় হলেই নিয়মিত শুটিং করব। আমাকে ছাড়া সে একদমই থাকে না। তাকে বাসায় রেখে যাওয়াও অসম্ভব।’

নাবিলার জীবন আমূল বদলে দিয়েছে মালহার। মেয়েকে ঘিরেই তার সব চিন্তা। মেয়েকে নিয়ে কাটানো দিনগুলো সম্পর্কে নাবিলা বলেন, ‘আস্তে আস্তে স্যাটেল করছি। একটু একটু করে বুঝে উঠছি। প্রথম দেড় মাস অনেক কষ্ট করেছি। এখন দিন দিন মেয়েকে বুঝতে পারছি। তার একটু একটু করে বড় হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’

সৌদি আরবে বড় হয়েছেন নাবিলা। ২০০০ সালে জেদ্দা থেকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। দেশে ফেরার আট মাসের মাথায় তার বাবা মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে। ২০০৬ সাল থেকে শুরু করেন উপস্থাপনা। এরপর ধীরে ধীরে অভিনয়। ২০১৮ সালে জোবায়দুল হককে বিয়ে করেন নাবিলা। প্রায় ২০ বছরের ভালো লাগার পরিণাম এ বিয়ে। তাঁর স্বামীও জেদ্দায় থাকতেন। সেখানেই তাদের প্রথম পরিচয়।