জন্মদিন আসলেই ছোটবেলার জন্মদিনের কথা খুব মনে পড়ে : রুনা লায়লা
- আপডেট : ১১:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
- / 221
যাবার আগ মুহুর্তে তাই ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি। জন্মদিন এবং জীবনের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন,‘জন্মদিন আসলেই আসলে ছোটবেলার জন্মদিনের কথা খুব মনে পড়ে। বাবা মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। এখনতো আসলে জন্মদিনকে ঘিরে বিশেষ তেমন কিছু করাও হয়ে উঠেনা। ঘরের মধ্যেই দিনটিকে বিশেষায়িত করার চেষ্টা থাকে। পরিবারের সঙ্গেই সময় কেটে যায়। আল্লাহ’র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে এক জীবনে আমি অনেক পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর অসীম রহমতে আমি অনেক কিছুই পেয়েছি। সত্যিই আমার আর চাওয়ার কিছু নেই। যে যশ, যে নাম, যে খ্যাতি হয়েছে আমার, তাতেই আমি পরিপূর্ণ, আলহামদুলিল্লাহ। এখন শুধু কিছু সুর সৃষ্টি করে যেতে চাই, নতুনদের কন্ঠে সেসব সুর তুলে দিয়ে যেতে চাই। আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ রাখেন, আমার পরিবারের সবাইকে ভালো রাখেন, এই দোয়া চাই।’
রুনা লায়লা ১৭টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক’সহ বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। রুনা লায়লা’র একজন সঙ্গীতশিল্পী নয় হওয়ার কথা ছিল নৃত্যশিল্পী। টানা চার বছর করাচির বুলবুল ললিতকলা একাডেমির ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শেখেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত গানের মাঝেই থেকে যান।
৫৭ বছরের বর্ণাঢ্য সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন ১২ বছরের এক কিশোরের জন্য গান গেয়ে। ১৯৬৪ সালে বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলীর অনুমতি নিয়ে সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ সিনেমায় প্রথম গান করেন। ‘গুড়িয়াসি মুন্নী মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গানটি কণ্ঠে তোলার জন্য একটানা দুই মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে ৩ দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।
রুনা লায়লা’র বিশেষ সাক্ষাৎকার আজ সকাল ৭টায় মাছরাঙ্গা টিভিতে প্রচার হয়েছে ‘রাঙ্গা সকাল’ অনুষ্ঠানে। রুনা লায়লা’র নিজের গাওয়া সর্বশেষ একক মৌলিক গান ছিলো ‘ফেরাতে পারিনি’। এটি গত বছর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনে প্রকাশিত হয়েছিলো। গানটি লিখেছেন কবির বকুল, সুর করেছেন রুনা লায়লা নিজেই। সঙ্গীতায়োজন করেছিলেন রাজা ক্যাশেফ। এছাড়াও গেলো বছরই প্রকাশিত হয়েছে তার সুরে আশা ভোসলে, হরিহরণ, আদনান সামি, রাহাত ফতেহ আলী খান বাংলা ভাষায় গান গেয়েছিলেন। এই প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে কনা, হৈমন্তী, ইউসুফ, ইমরান, লুইপা, কোনাল, ঝিলিকের কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। তারা নিয়মিত ভালো করার চেষ্টা করছে বলে তিহনি তার অভিমত প্রকাশ করেন।