দুবাই মাতাবেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 125
ফেরদৌস ও পূর্ণিমা সিনেমায় অভিনয় জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাদের দু’জনের অভিনীত ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ সিনেমা দু’টি। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি দু’জন উপস্থাপনাতেও জুটি হিসেবে দেশের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন। দেশের বড় বড় স্টেজ শো’গুলো’সহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’সহ আরো অন্যান্য অনুষ্ঠানেও ফেরদৌস পূর্ণিমার উপস্থাপনা বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। যে কারণে উপস্থাপনায় এই জুটি’র একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা তৈরী হয়েছে।

স্টেজ শো’র মৌসুমে তাই এই জুটি’কে দর্শক উপস্থাপনায় দেখতে চায়। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরের দর্শকও স্টেজে উপস্থাপনায় ফেরদৌস পূর্ণিমাকে দেখতে চায়। সেই দর্শকের কথা ভেবেই উপস্থাপক হিসেবে দেশের বাইরে এবারই প্রথমবারের মতো কোন শো’তে অংশ নিতে যাচ্ছেন ফেরদৌস পূর্ণিমা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বিজয় উৎসব ২০২১’। এই উৎসবের আয়োজক দুবাইয়ের ‘বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল’। সহযোগিতায় আছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।

এমন একটি আয়োজনে উপস্থাপক হিসেবে অংশ নিতে পারা প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন,‘করোনার কারণে পুরো পৃথিবীই আসলে থমকে গিয়েছিলো। এখন আবার অনেকটাই পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। শিল্পীরাও এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। নিজেদের কাজে ফিরছেন সবাই। সবারমধ্যে একটা স্বত:স্ফুর্ততা কাজ করছে। দেশের বাইরে যারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা মূলত তাদের জন্যই শারজাহতে এই আয়োজন। এমন একটি আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারার মধ্যে আমি ভীষণ গর্ববোধ করছি। যারা আয়োজন করছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। আর আমার সঙ্গে উপস্থাপনায় পূর্ণিমা যেমন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে আমিও ঠিক তাই। আশা করছি দেশের বাইরে আমাদের প্রথম একসঙ্গে উপস্থাপনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

পূর্ণিমা বলেন,‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতিরন পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে শারজাহ’র এই আয়োজনে অংশ নিতে পারছি বলে সত্যিই ভীষণ আনন্দিত। সঙ্গে যথারীতি আমার খুব ভালো বন্ধু ফেরদৌস আছে। তাই আশা করছি অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হয়ে উঠবে। দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনালের, বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের প্রতি আন্তরিকত ধন্যবাদ। আশা করছি ইনশাআল্লাহ দেখা হবে সবার সঙ্গে।’

এদিকে পূর্ণিমা জানান আগামী ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ আয়োজিত শো’তে তিনি উপস্থাপনা করছেন না। শারজাহ’তে অনুষ্ঠান শেষে তারা দেশে ফিরবেন ২০ ডিসেম্বর। গতকাল ফেরদৌস ও পূর্ণিমা কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনম্যান্টে অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় অংশ নেন। আগামী ১৩ ডিসেম্বর তারা দু’জন হাতিরঝিলের বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন। এছাড়া আপাতত আর কোন অনুষ্ঠান চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান ফেরদৌস পূর্ণিমা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুবাই মাতাবেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা

আপডেট : ১০:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
ফেরদৌস ও পূর্ণিমা সিনেমায় অভিনয় জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাদের দু’জনের অভিনীত ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ সিনেমা দু’টি। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি দু’জন উপস্থাপনাতেও জুটি হিসেবে দেশের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন। দেশের বড় বড় স্টেজ শো’গুলো’সহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’সহ আরো অন্যান্য অনুষ্ঠানেও ফেরদৌস পূর্ণিমার উপস্থাপনা বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। যে কারণে উপস্থাপনায় এই জুটি’র একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা তৈরী হয়েছে।

স্টেজ শো’র মৌসুমে তাই এই জুটি’কে দর্শক উপস্থাপনায় দেখতে চায়। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরের দর্শকও স্টেজে উপস্থাপনায় ফেরদৌস পূর্ণিমাকে দেখতে চায়। সেই দর্শকের কথা ভেবেই উপস্থাপক হিসেবে দেশের বাইরে এবারই প্রথমবারের মতো কোন শো’তে অংশ নিতে যাচ্ছেন ফেরদৌস পূর্ণিমা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বিজয় উৎসব ২০২১’। এই উৎসবের আয়োজক দুবাইয়ের ‘বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল’। সহযোগিতায় আছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।

এমন একটি আয়োজনে উপস্থাপক হিসেবে অংশ নিতে পারা প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন,‘করোনার কারণে পুরো পৃথিবীই আসলে থমকে গিয়েছিলো। এখন আবার অনেকটাই পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। শিল্পীরাও এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। নিজেদের কাজে ফিরছেন সবাই। সবারমধ্যে একটা স্বত:স্ফুর্ততা কাজ করছে। দেশের বাইরে যারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা মূলত তাদের জন্যই শারজাহতে এই আয়োজন। এমন একটি আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারার মধ্যে আমি ভীষণ গর্ববোধ করছি। যারা আয়োজন করছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। আর আমার সঙ্গে উপস্থাপনায় পূর্ণিমা যেমন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে আমিও ঠিক তাই। আশা করছি দেশের বাইরে আমাদের প্রথম একসঙ্গে উপস্থাপনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

পূর্ণিমা বলেন,‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতিরন পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে শারজাহ’র এই আয়োজনে অংশ নিতে পারছি বলে সত্যিই ভীষণ আনন্দিত। সঙ্গে যথারীতি আমার খুব ভালো বন্ধু ফেরদৌস আছে। তাই আশা করছি অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হয়ে উঠবে। দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনালের, বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের প্রতি আন্তরিকত ধন্যবাদ। আশা করছি ইনশাআল্লাহ দেখা হবে সবার সঙ্গে।’

এদিকে পূর্ণিমা জানান আগামী ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ আয়োজিত শো’তে তিনি উপস্থাপনা করছেন না। শারজাহ’তে অনুষ্ঠান শেষে তারা দেশে ফিরবেন ২০ ডিসেম্বর। গতকাল ফেরদৌস ও পূর্ণিমা কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনম্যান্টে অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় অংশ নেন। আগামী ১৩ ডিসেম্বর তারা দু’জন হাতিরঝিলের বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন। এছাড়া আপাতত আর কোন অনুষ্ঠান চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান ফেরদৌস পূর্ণিমা।