সেই এসপির চরিত্রে ফেরদৌস
- আপডেট : ১১:০৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২
- / 186
সিনেমাটি প্রসঙ্গে ফেরদৌস আহমেদ বলেন,‘দামপাড়া’ মূলত বাংলাদেশ পুলিশের বীরত্ব ও দেশপ্রেমের গল্পের সিনেমা। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রশাসনের ভেতরে থেকেও যারা লড়াই চালিয়ে গেছেন ও যুদ্ধ করেছেন এমন অনেকেই আছেন যাদের কথা ইতিহাসে খুব বেশি উল্লেখ করা হয়ে ওঠেনি-এসপি শামসুল ইসলাম তেমনই একজন। চট্টগ্রামের দামপাড়ার পুলিশ লাইনসে অস্ত্রের গুদাম ঘর ছিলো এসপি’র দায়িত্বে। পাকিস্তানী আর্মিরা তার কাছে সেই অস্ত্রের গুদাম ঘরের চাবি চেয়েছিলো। কিন্তু এসপি শামসুল ইসলাম আর্মিদের সাথে একটি গেম খেলে সমস্ত অস্ত্র চট্টগ্রাম’সহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেন।
পরবর্তীতে যখন যুদ্ধ শুরু হয় পাকিস্তানীদের লক্ষ্যই ছিল কী করে এসপি শামসুল ইসলামকে হত্যা করা যায়। শেষ পর্যন্ত তাকে অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে খুনও করে পাকিস্তানীরা। কিন্তু তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায় না। যেহেতু তার স্ত্রী বেঁচে আছেন, তাই স্বামীহারা স্ত্রীর বর্ণনায় গল্পটি বড়পর্দায় তুলে ধরা হচ্ছে। তার বীরত্ব ও আত্মত্যাগের গল্পে নির্মিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র ‘দামপাড়া’। আমি এর আগেও মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাতে অভিনয় করেছি। কিন্তু কোন সিনেমায় এতো ডিটেইল মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরা হয়নি। আমি আমার চরিত্রে শতভাগ দেবার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ চট্টগ্রাম বাসী, চট্টগ্রামের সংবাদ মাধ্যম, চট্টগ্রাম পুলিশ প্রশাসন। কারণ সবাই দামপাড়া’কে পূর্ণাঙ্গরূপ দিতে ভীষণভাবে সহযোগিতা করছেন।’
আর কয়েকদিনের মধ্যেই সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়ে যাবে। এতে ফেরদৌসের বিপরীতে অর্থাৎ এসপি শামসুল ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা হক চৌধুরীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ভাবনা। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের বীরত্বগাঁথা গল্প নিয়ে এমন একটি সিনেমা নির্মাণ বাংলাদেশের পুলিশের ভাবমুর্তি’কে আরো উজ্জ্বল করবে-এমনটাই আশাবাদ ফেরদৌসের।
‘হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘গঙ্গাযাত্রা’, ‘এক কাপ চা’, ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ ও ‘পুত্র’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন ফেরদৌস।