এমন চিন্তা কখনও মাথায় আসেনি: আফজাল হোসেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:৩০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 174
দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর একুশে পদক দিতে যাচ্ছে সরকার। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে অভিনয়ে অসামান্য অবদান রাখায় পদক পেতে যাচ্ছেন গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেন।

একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার খবরটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে মানুষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে ভাসছেন বরেণ্য এই অভিনেতা। এমন খবরে আফজাল হোসেন বলেন, ‘সারা জীবন অভিনয় করে গেছি। এমন সম্মানে সম্মানীত হবো- এমন চিন্তা কখনও মাথায় আসেনি। অভিনয়কে ভালোবেসেই সব করেছি। রাষ্ট্র সম্মান জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় এই সম্মান পাচ্ছি- এটা আমার জন্য অবশ্যই অনেক আনন্দ ও ভালো লাগার ব্যাপার। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা আমার অভিনয়, আঁকাআঁকি নিয়ে তেমন খুশি ছিলেন না। কিন্তু একটা স্যুটকেসে তিনি আমার ছবিসহ সব সংবাদ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। আমার বাবা জানতে পারলে খুব ভালো লাগতো। বাবা এখন বেঁচে নেই। আর মা বেঁচে থাকলেও এই খবর জানার মতো অবস্থায় নেই।’

নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্যবিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এমন চিন্তা কখনও মাথায় আসেনি: আফজাল হোসেন

আপডেট : ০২:৩০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর একুশে পদক দিতে যাচ্ছে সরকার। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে অভিনয়ে অসামান্য অবদান রাখায় পদক পেতে যাচ্ছেন গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেন।

একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার খবরটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে মানুষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে ভাসছেন বরেণ্য এই অভিনেতা। এমন খবরে আফজাল হোসেন বলেন, ‘সারা জীবন অভিনয় করে গেছি। এমন সম্মানে সম্মানীত হবো- এমন চিন্তা কখনও মাথায় আসেনি। অভিনয়কে ভালোবেসেই সব করেছি। রাষ্ট্র সম্মান জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় এই সম্মান পাচ্ছি- এটা আমার জন্য অবশ্যই অনেক আনন্দ ও ভালো লাগার ব্যাপার। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা আমার অভিনয়, আঁকাআঁকি নিয়ে তেমন খুশি ছিলেন না। কিন্তু একটা স্যুটকেসে তিনি আমার ছবিসহ সব সংবাদ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। আমার বাবা জানতে পারলে খুব ভালো লাগতো। বাবা এখন বেঁচে নেই। আর মা বেঁচে থাকলেও এই খবর জানার মতো অবস্থায় নেই।’

নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্যবিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।