জামিন পেলেন মিথিলা
- আপডেট : ০২:৩২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / 180
এদিন হাইকোর্টের দেওয়া আট সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়া তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় মিথিলা ও ফারিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এই দুই অভিনেত্রীর আইনজীবী জেসমিন সুলতানা ওইদিন বলেন, জামিনে থাকাকালীন পুলিশ যাতে এ দুই অভিনয়শিল্পীকে কোনো প্রকার হয়রানি না করে সে ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জামিনের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মিথিলা বলেন, আদালত বলেছেন, যে মামলাটি আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে সেটার আসলে খুব একটা ভিত্তি নেই। ভিত্তিটা স্ট্রং নয়। সেই কারণে আমাকে আগাম জামিন দিয়েছেন। আইনের প্রতি আমার আস্থা আছে। আশা করছি, শিল্পীরা হয়রানির শিকার হবে না। শুধু এখন নয়, ভবিষ্যতেও।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এধরনের কাজ করার সময় আরও সতর্ক হয়ে কাজ করবো। আমি বাংলাদেশের ১০০টিরও বেশি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে এ ধরনের একটা হয়রানিমূলক পরিস্থিতির জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। অসম্ভব হয়রানির ভেতর দিয়ে আমি যেটা শিখলাম, আমাদের মিডিয়ার এসব ইস্যু ডিল করার জন্য সেভাবে কোনো এজেন্সি নেই, ম্যানেজার নেই। আমাদের প্রত্যেককেই আলাদাভাবে ডিল করতে হয়।
গত ২১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের নামে মামলার আবেদন করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রাজধানীর ধানমন্ডি থানাকে মামলার অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানা মামলার অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নেয়। পরের দিন মামলাটি থানা থেকে আদালতে পাঠানা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ১০ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রেফতার ইভ্যালি এমডি মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস।