কেন ঐশ্বরিয়াকে ১০ কোটি দিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট?

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:০২:৪১ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 162
মডেলিং থেকে ‘বিশ্বসুন্দরী’-র খেতাব। তার পর বলিউডের নায়িকা। দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে হলিউড। তা ছাড়িয়ে কান ফিল্মোৎসবের রেড কার্পেটে দাঁড়ানো। নিজের ক্যারিয়ারে বহু সোনালি মুহূর্ত দেখেছেন অমিতাভ বচ্চনের পূত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
একই সঙ্গে অস্বস্তিকর বিতর্কেও জড়িয়েছেন একাধিক বার। কখনও গভীর রাতে নিজের বাড়ির সামনে ‘প্রেমিক’ সালমান খানের চিৎকার-চেঁচামেচি। কখনও বা স্বামী অভিষেক বচ্চনের সামনেই একমঞ্চে অজয় দেবগণের ‘চুমু’। আবার এক সময় খোদ অমিতাভের সঙ্গে তার ‘সম্পর্ক’ নিয়ে জল্পনা। এমন সব অস্বস্তিকর বিতর্কে ঐশ্বরিয়ার মেজাজ বিগড়ে যেতে বাধ্য। তার ভক্তরা সবসময়ই এ কথা বলেন।

সালমান খানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে এক সময় কম জলঘোলা হয়নি। শোনা যায়, ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালীর ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে প্রেম করেন তারা। ২০০১ সালে সে জুটি ভেঙেও যায়। তার আগে অবশ্য সালমানকে জড়িয়ে কয়েকবার অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি। সালমানের বিরুদ্ধে তাকে ধোঁকা দেওয়া, শারীরিক ভাবে হেনস্থার অভিযোগও করেছিলেন। যদিও তা মানতে নারাজ সালমান। ব্রেক-আপের আগে এক বার নাকি রাত ৩টার সময় ঐশ্বরিয়ার অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে চিৎকার-চেঁচামেচি করেছিলেন সাল্লু। ঐশ্বরিয়ার দরজা ধাক্কাতেও অনেকে তাকে দেখেছিলেন বলেও দাবি।

সালমান ছাড়া অজয়কে নিয়েও কম বিব্রত হননি ঐশ্বরিয়া। তখন সালমান অতীত। অভিষেকের সঙ্গে চুটিয়ে ঘরকন্না করছেন। একটি অনুষ্ঠানে অভিষেকের সামনেই ঐশ্বরিয়াকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেন অজয়, যা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। পেজ থ্রি-র পাতায় ওই ছবি দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল, ঐশ্বরিয়াকে চুমু খাচ্ছেন অজয়।

অমিতাভের সঙ্গে তিনি নাকি ‘ডেটিং’ করছেন। কানাঘুষোয় এমনও শুনেছেন ঐশ্বরিয়া। একটি বলিউডি ইভেন্টে দু’জনের ছবি ভাইরালও হয়েছিল।

বিতর্ক তো খ্যাতনামীদের জীবনের অঙ্গ। অনেকে এমন কথা বলতেই পারেন। তবে অস্বস্তিতে পড়লে কার ভাল লাগে? ফের অস্বস্তিতে পড়েন ঐশ্বরিয়া। এ বার অবশ্য পড়শি দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে জড়িয়ে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি নাকি ঐশ্বরিয়াকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে পাক প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার বাসভবনে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে পারর্ফম করার জন্যই ওই টাকা নিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। এ দাবি নাকি করেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদ মাসুদ।

ওই ‘ঘটনা’র সময় পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ চ্যাট শো করতে মাসুদ। এ দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি, ওই চ্যাট শোয়ে এ কথা বলেছেন তিনি। জারদারির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে পাক প্রেসিডেন্টের বাসভবনের অনুষ্ঠানে এক রাতে নৃত্য পরিবেশনা করেন ঐশ্বরিয়া। সে জন্যই নাকি তাকে ১০ কোটি টাকা দেন জারদারি।

সত্যি কি মিথ্যা তা জানা যায়নি। তবে মাসুদের দাবি ঘিরে পাকিস্তানের অনেকেই হতবাক। শোনা যায়, গোটা বিতর্কে মুখ না খুললেও তাতে আহত হয়েছেন ঐশ্বরিয়া।

নিজের দাবি সত্ত্বেও এ নিয়ে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেননি মাসুদ। ওই ‘তথাকথিত অনুষ্ঠান’-এর কোনও ভিডিও ফুটেজ বা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম করতে পারেননি তিনি। তবে চ্যাট শো-এ মাসুদ যে এ কথা করেছেন, তার ভিডিও নিজেদের জিম্মায় রয়েছে বলে দাবি একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেন ঐশ্বরিয়াকে ১০ কোটি দিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট?

আপডেট : ০১:০২:৪১ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
মডেলিং থেকে ‘বিশ্বসুন্দরী’-র খেতাব। তার পর বলিউডের নায়িকা। দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে হলিউড। তা ছাড়িয়ে কান ফিল্মোৎসবের রেড কার্পেটে দাঁড়ানো। নিজের ক্যারিয়ারে বহু সোনালি মুহূর্ত দেখেছেন অমিতাভ বচ্চনের পূত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
একই সঙ্গে অস্বস্তিকর বিতর্কেও জড়িয়েছেন একাধিক বার। কখনও গভীর রাতে নিজের বাড়ির সামনে ‘প্রেমিক’ সালমান খানের চিৎকার-চেঁচামেচি। কখনও বা স্বামী অভিষেক বচ্চনের সামনেই একমঞ্চে অজয় দেবগণের ‘চুমু’। আবার এক সময় খোদ অমিতাভের সঙ্গে তার ‘সম্পর্ক’ নিয়ে জল্পনা। এমন সব অস্বস্তিকর বিতর্কে ঐশ্বরিয়ার মেজাজ বিগড়ে যেতে বাধ্য। তার ভক্তরা সবসময়ই এ কথা বলেন।

সালমান খানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে এক সময় কম জলঘোলা হয়নি। শোনা যায়, ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালীর ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে প্রেম করেন তারা। ২০০১ সালে সে জুটি ভেঙেও যায়। তার আগে অবশ্য সালমানকে জড়িয়ে কয়েকবার অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি। সালমানের বিরুদ্ধে তাকে ধোঁকা দেওয়া, শারীরিক ভাবে হেনস্থার অভিযোগও করেছিলেন। যদিও তা মানতে নারাজ সালমান। ব্রেক-আপের আগে এক বার নাকি রাত ৩টার সময় ঐশ্বরিয়ার অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে চিৎকার-চেঁচামেচি করেছিলেন সাল্লু। ঐশ্বরিয়ার দরজা ধাক্কাতেও অনেকে তাকে দেখেছিলেন বলেও দাবি।

সালমান ছাড়া অজয়কে নিয়েও কম বিব্রত হননি ঐশ্বরিয়া। তখন সালমান অতীত। অভিষেকের সঙ্গে চুটিয়ে ঘরকন্না করছেন। একটি অনুষ্ঠানে অভিষেকের সামনেই ঐশ্বরিয়াকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরেন অজয়, যা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। পেজ থ্রি-র পাতায় ওই ছবি দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল, ঐশ্বরিয়াকে চুমু খাচ্ছেন অজয়।

অমিতাভের সঙ্গে তিনি নাকি ‘ডেটিং’ করছেন। কানাঘুষোয় এমনও শুনেছেন ঐশ্বরিয়া। একটি বলিউডি ইভেন্টে দু’জনের ছবি ভাইরালও হয়েছিল।

বিতর্ক তো খ্যাতনামীদের জীবনের অঙ্গ। অনেকে এমন কথা বলতেই পারেন। তবে অস্বস্তিতে পড়লে কার ভাল লাগে? ফের অস্বস্তিতে পড়েন ঐশ্বরিয়া। এ বার অবশ্য পড়শি দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে জড়িয়ে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি নাকি ঐশ্বরিয়াকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে পাক প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার বাসভবনে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে পারর্ফম করার জন্যই ওই টাকা নিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। এ দাবি নাকি করেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদ মাসুদ।

ওই ‘ঘটনা’র সময় পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ চ্যাট শো করতে মাসুদ। এ দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি, ওই চ্যাট শোয়ে এ কথা বলেছেন তিনি। জারদারির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে পাক প্রেসিডেন্টের বাসভবনের অনুষ্ঠানে এক রাতে নৃত্য পরিবেশনা করেন ঐশ্বরিয়া। সে জন্যই নাকি তাকে ১০ কোটি টাকা দেন জারদারি।

সত্যি কি মিথ্যা তা জানা যায়নি। তবে মাসুদের দাবি ঘিরে পাকিস্তানের অনেকেই হতবাক। শোনা যায়, গোটা বিতর্কে মুখ না খুললেও তাতে আহত হয়েছেন ঐশ্বরিয়া।

নিজের দাবি সত্ত্বেও এ নিয়ে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেননি মাসুদ। ওই ‘তথাকথিত অনুষ্ঠান’-এর কোনও ভিডিও ফুটেজ বা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম করতে পারেননি তিনি। তবে চ্যাট শো-এ মাসুদ যে এ কথা করেছেন, তার ভিডিও নিজেদের জিম্মায় রয়েছে বলে দাবি একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।