ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমির খান: ভারতীয় চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:২৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / 122
আমির খান ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আজ সোমবার, ১৪ই মার্চ আমির খানের জন্মদিন। মিস্টার পারফেকশনিস্ট এবারে পা রাখলেন ৫৬ বছরে। জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ১৩ মার্চ দিন শেষে রাত ১২টার পর থেকেই সিক্ত হচ্ছেন এই তারকা। তাকে ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভালোবাসা জানিয়েছেন কোটি কোটি ভক্তরা।

গত তিন দশক ধরে বলিউড মাতিয়ে রাখার কাজটি করে যাচ্ছেন সদর্পে। যে কোনো চরিত্রে মানানসই এই অভিনেতা। তার অভিনয় দক্ষতার জন্য বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ উপাধিটিও অর্জন করে নিয়েছেন।

‘লগান’ ভারতীয় চলচ্চিত্রে একটি ইতিহাস! ১৯৫৭ সালের ‘মাদার ইন্ডিয়া’ আর ১৯৮৮ সালের ‘সালাম বোম্বে’-এর পরে অস্কারে বিদেশি ভাষায় মনোনীত হয় এই সিনেমা। শুধু কি তাই, গ্রামের সাদাসিধা ভুবন চরিত্র শাহরুখের পছন্দ না হলেও এই চরিত্র দিয়েই ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন আমির খান।

অভিনয়, প্রযোজনা, পরিচালনা ও টিভি উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে লাখো ভক্তের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি। মাত্র পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতার এই জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা নিজ গুণে ছাড়িয়ে গেছেন অনেককে।

তাহির হোসেন ও জিনাত হোসেন দম্পতির ঘর আলো করে ১৯৬৫ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন বলিউডের পারফেক্টশনিস্ট আমির খান। তার পরিবার ভারতীয় চলচ্চিত্রের সাথে কয়েক দশক ধরে জড়িত। পিতা তাহির হুসেন ছিলেন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং তার চাচা নাসির হুসেন একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা।

সেই ১৯৭৩ সালে মাত্র ৮ বছর বয়সে চাচা নাসির হোসেনের চলচ্চিত্র ‘ইয়াদো কা বারা’তে শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। তবে নায়ক হিসেবে তার আবির্ভাব ১৯৮৮ সালের সিনেমা ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ দিয়ে।

এ সিনেমা দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে আইডল হয়ে উঠেন আমির খান। আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।

১৯৯০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দুর্দান্ত সফল ক্যারিয়ার ছিল আমির খানের। এ সময়ে তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘দিল’, ‘দিল হ্যায় কি মন্ত নেহিঁ’, ‘রঙ্গীলা’, ‘আন্দাজ আপনা আপনা’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘লগান’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ইত্যাদি।

২০০১ সালে স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর চলচ্চিত্র থেকে কিছুকালের বিরতি নেন আমির খান। ২০০৫ সালে ‘মঙ্গল পাণ্ডে’ সিনেমার মধ্য দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন তিনি।

২০০৬ সালে বিখ্যাত ‘রঙ দে বাসন্তি’ অনেক পুরস্কার এনে দেয় তাকে। একই বছর সাফল্য আনে ‘ফানা’ও। এরপর ‘তারে জমিন পর’ পুরস্কারে পুরস্কারে ঝুলি ভরে দেয় আমিরের। রঙ দে বাসন্তি ও তেরে জামিন পর- দু’টি সিনেমাই অস্কারের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিল।

করোনার দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আমির খান বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমার পোস্ট প্রডাকশনের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এটি হলিউডের বিখ্যাত ‘ফরেস্ট গাম্প’ সিনেমার অফিসিয়াল রিমেক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমির খান: ভারতীয় চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র

আপডেট : ০৭:২৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
আমির খান ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আজ সোমবার, ১৪ই মার্চ আমির খানের জন্মদিন। মিস্টার পারফেকশনিস্ট এবারে পা রাখলেন ৫৬ বছরে। জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ১৩ মার্চ দিন শেষে রাত ১২টার পর থেকেই সিক্ত হচ্ছেন এই তারকা। তাকে ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভালোবাসা জানিয়েছেন কোটি কোটি ভক্তরা।

গত তিন দশক ধরে বলিউড মাতিয়ে রাখার কাজটি করে যাচ্ছেন সদর্পে। যে কোনো চরিত্রে মানানসই এই অভিনেতা। তার অভিনয় দক্ষতার জন্য বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ উপাধিটিও অর্জন করে নিয়েছেন।

‘লগান’ ভারতীয় চলচ্চিত্রে একটি ইতিহাস! ১৯৫৭ সালের ‘মাদার ইন্ডিয়া’ আর ১৯৮৮ সালের ‘সালাম বোম্বে’-এর পরে অস্কারে বিদেশি ভাষায় মনোনীত হয় এই সিনেমা। শুধু কি তাই, গ্রামের সাদাসিধা ভুবন চরিত্র শাহরুখের পছন্দ না হলেও এই চরিত্র দিয়েই ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন আমির খান।

অভিনয়, প্রযোজনা, পরিচালনা ও টিভি উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে লাখো ভক্তের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি। মাত্র পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতার এই জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা নিজ গুণে ছাড়িয়ে গেছেন অনেককে।

তাহির হোসেন ও জিনাত হোসেন দম্পতির ঘর আলো করে ১৯৬৫ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন বলিউডের পারফেক্টশনিস্ট আমির খান। তার পরিবার ভারতীয় চলচ্চিত্রের সাথে কয়েক দশক ধরে জড়িত। পিতা তাহির হুসেন ছিলেন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং তার চাচা নাসির হুসেন একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা।

সেই ১৯৭৩ সালে মাত্র ৮ বছর বয়সে চাচা নাসির হোসেনের চলচ্চিত্র ‘ইয়াদো কা বারা’তে শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। তবে নায়ক হিসেবে তার আবির্ভাব ১৯৮৮ সালের সিনেমা ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ দিয়ে।

এ সিনেমা দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে আইডল হয়ে উঠেন আমির খান। আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।

১৯৯০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দুর্দান্ত সফল ক্যারিয়ার ছিল আমির খানের। এ সময়ে তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘দিল’, ‘দিল হ্যায় কি মন্ত নেহিঁ’, ‘রঙ্গীলা’, ‘আন্দাজ আপনা আপনা’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘লগান’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ ইত্যাদি।

২০০১ সালে স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর চলচ্চিত্র থেকে কিছুকালের বিরতি নেন আমির খান। ২০০৫ সালে ‘মঙ্গল পাণ্ডে’ সিনেমার মধ্য দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন তিনি।

২০০৬ সালে বিখ্যাত ‘রঙ দে বাসন্তি’ অনেক পুরস্কার এনে দেয় তাকে। একই বছর সাফল্য আনে ‘ফানা’ও। এরপর ‘তারে জমিন পর’ পুরস্কারে পুরস্কারে ঝুলি ভরে দেয় আমিরের। রঙ দে বাসন্তি ও তেরে জামিন পর- দু’টি সিনেমাই অস্কারের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিল।

করোনার দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আমির খান বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমার পোস্ট প্রডাকশনের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এটি হলিউডের বিখ্যাত ‘ফরেস্ট গাম্প’ সিনেমার অফিসিয়াল রিমেক।