নিশো-মেহ্জাবীনের নতুন মাইলফলক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
  • / 183
ভিউয়ের দৌড় প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত বাংলা নাটক ইন্ডাস্ট্রির অর্জনের পাল্লায় রয়েছে ৭টি নাটক, যেগুলো এরইমধ্যে ২ কোটিরও অধিক ভিউ ছুঁয়েছে ইউটিউবে। সেই নাটকগুলো হলো-

‘বড় ছেলে’ (অপূর্ব-মেহ্জাবীন), ‘বুকের বাঁ পাশে’ (নিশো-মেহ্জাবীন), ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’ (নিশো-তানজিন তিশা), ‘জমজ ১০’ (মোশাররফ করিম-সালহা নাদিয়া), ‘টম এন্ড জেরী’ (নিশো-মেহ্জাবীন), ‘শিল্পী’ (নিশো-মেহ্জাবীন) ও ‘সান্ত্বনা দে’ (মোশাররফ করিম-নাদিয়া আহমেদ)।

সেদিক থেকে অভিনেতা হিসেবে ২ কোটিরও বেশি ভিউয়ের তালিকায় রয়েছেন আফরান নিশো (৪টি), মোশাররফ করিম (২টি) ও জিয়াউল ফারুক অপূর্ব (১টি)। অন্যদিকে অভিনেত্রী হিসেবে রয়েছেন মেহ্জাবীন চৌধুরী (৪টি), তানজিন তিশা (১টি), নাদিয়া আহমেদ (১টি), সালহা খানম নাদিয়া (১টি)।

বাংলাদেশের নাটক ইন্ডাস্ট্রিতে কোটি ভিউয়ের প্রথম ইতিহাস তৈরি করে ‘বড় ছেলে’ নাটক, যেখানে অভিনয় করেছেন জিয়াল ফারুক অপূর্ব ও মেহ্জাবীন চৌধুরী। এছাড়াও সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে (২৬ দিনে) কোটি ভিউয়ের মাইলফলক ছুঁয়ে আরেক ইতিহাস তৈরি করে ‘শিল্পী’ নাটকটি।যেখানে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও মেহ্জাবীন চৌধুরী।

প্রথম বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পী এবং একইসাথে জুটি হিসেবেও অনন্য মাইলফলক অর্জন করলেন ছোট পর্দার দুই তারকা আফরান নিশো ও মেহ্জাবীন চৌধুরী। তাদের দুজনেরই ৪টি নাটক ২ কোটির মাইলফলক ছুঁয়েছে। এছাড়াও জুটি হিসেবে এ দুজন হ্যাট্রিক করেছেন।

এ জুটির হ্যাট্রিক করা নাটক তিনটি হলো- ‘বুকের বাঁ পাশে’, ‘টম এন্ড জেরী’ ও ‘শিল্পী’। বাকি একটিতে নিশোর সহশিল্পী তানজিন তিশা (এক্স বয়ফ্রেন্ড) এবং অন্যদিকে মেহ্জাবীনের সহশিল্পী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব (বড় ছেলে)।

এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আফরান নিশো বলেন, ‘এই ধরণের সাফল্য তো অবশ্যই ভালো লাগে। দর্শকরা কাজগুলোকে পছন্দ করে, ভালোবাসা প্রকাশ করে; যার কারণে আমাদের অর্জনের পাল্লায় এগুলো যোগ হয়। এতে করে নিজের মধ্যে তখন কাজের স্পৃহাটা আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়। সত্যি বলতে, এই সাফল্যগুলো আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে।

যখন আমার এককভাবে ৪টি নাটক এবং জুটি হিসেবে ৩টি নাটক দিয়ে এভাবে সবার থেকে এগিয়ে যায় তখন স্বভাবতই আমাকে অনেক আনন্দিত করে। জুটি হিসেবেও দর্শকরা যে আমাদেরকে এত বেশি ভালোবাসা দিচ্ছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই অর্জনগুলোর কৃতিত্ব আসলে প্রতিটা টিমের সঙ্গে যুক্ত থাকা সকলের। এ কৃতিত্ব দর্শকদের। তারা এতোটা সাপোর্ট ও ভালোবাসা না দিলে হয়তো আমি আজকে এ অবস্থানে আসতে পারতাম না। এরজন্য আমার সকল ভক্ত অনুরাগী ও দর্শকদের জন্য মন থেকে ভালোবাসা জানাতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার সহকর্মী ও পরিচালকদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলে আসছি যে, ভিউয়ের সাথে কিন্তু মানের কোনো সম্পর্ক নেই। যেই কাজগুলো বেশি জনপ্রিয়তা পায়, সেগুলোরই ভিউ বেশি হয়। একটা কাজের মানদণ্ড কখনোই ভিউ দিয়ে কাউন্ট করা যায় না। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমি ভিউ এবং রিভিউ দুইটাই দেখি। একজন শিল্পীর গুণগত মান এবং জনপ্রিয়তা দুটোই নির্ভর করে ভিউ এবং রিভিউয়ের উপর। এটা একে অপরের পরিপূরক, একটা আরেকটিকে প্লাস করে। একজন শিল্পীকে গুণগত মান বজায় রেখেও কাজ করতে হয়, আবার ভিউয়ের জন্যও; আবার গণমানুষের জন্যেও কিছু কাজ করতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে কাজ করাটাই কিন্তু একজন শিল্পীর কর্তব্য।’

অন্যদিকে মেহ্জাবীন চৌধুরী বলেন, ‘আমি আসলে রেকর্ড নিয়ে কখনোই চিন্তিত নই, আমি শুধু আমার কাজটা নিয়ে ভাবি সবসময়। নিজের কাজটা কীভাবে আরও ভালো করা যায়,সবসময় সেটা নিয়ে চিন্তা করি। নিজেকে সময় দেই, গল্পে-চরিত্রে সময় দেই। নিজেকে যতটা ইম্প্রুভ করতে পারবো ততই ভালো কাজ করতে পারবো। আমি এটাই বিশ্বাস করি। তবে এটাও ঠিক যে, রেকর্ড বলি বা অর্জন বলি; যখন এই বিষয়গুলো দেখি তখন একটা ভালো লাগা কাজ করে। দর্শকরা কাজগুলো পছন্দ করছেন, দেখছেন। একটা কাজ করার পর যদি সেটা দর্শক পর্যন্ত না পৌঁছায় তাহলে সেটা তো সফল না। কাজগুলো অবশ্যই দর্শক পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। আর এটাকে যদি রেকর্ড হিসেবেই দেখি, তার মানে দর্শক কাজগুলোকে পছন্দ করেছেন। অর্থাৎ কাজগুলো সফল। দিনশেষে আমরা যারা শিল্পী তারা কিন্তু দর্শকদের জন্যই কাজ করি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিশো-মেহ্জাবীনের নতুন মাইলফলক

আপডেট : ১১:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
ভিউয়ের দৌড় প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত বাংলা নাটক ইন্ডাস্ট্রির অর্জনের পাল্লায় রয়েছে ৭টি নাটক, যেগুলো এরইমধ্যে ২ কোটিরও অধিক ভিউ ছুঁয়েছে ইউটিউবে। সেই নাটকগুলো হলো-

‘বড় ছেলে’ (অপূর্ব-মেহ্জাবীন), ‘বুকের বাঁ পাশে’ (নিশো-মেহ্জাবীন), ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’ (নিশো-তানজিন তিশা), ‘জমজ ১০’ (মোশাররফ করিম-সালহা নাদিয়া), ‘টম এন্ড জেরী’ (নিশো-মেহ্জাবীন), ‘শিল্পী’ (নিশো-মেহ্জাবীন) ও ‘সান্ত্বনা দে’ (মোশাররফ করিম-নাদিয়া আহমেদ)।

সেদিক থেকে অভিনেতা হিসেবে ২ কোটিরও বেশি ভিউয়ের তালিকায় রয়েছেন আফরান নিশো (৪টি), মোশাররফ করিম (২টি) ও জিয়াউল ফারুক অপূর্ব (১টি)। অন্যদিকে অভিনেত্রী হিসেবে রয়েছেন মেহ্জাবীন চৌধুরী (৪টি), তানজিন তিশা (১টি), নাদিয়া আহমেদ (১টি), সালহা খানম নাদিয়া (১টি)।

বাংলাদেশের নাটক ইন্ডাস্ট্রিতে কোটি ভিউয়ের প্রথম ইতিহাস তৈরি করে ‘বড় ছেলে’ নাটক, যেখানে অভিনয় করেছেন জিয়াল ফারুক অপূর্ব ও মেহ্জাবীন চৌধুরী। এছাড়াও সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে (২৬ দিনে) কোটি ভিউয়ের মাইলফলক ছুঁয়ে আরেক ইতিহাস তৈরি করে ‘শিল্পী’ নাটকটি।যেখানে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও মেহ্জাবীন চৌধুরী।

প্রথম বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পী এবং একইসাথে জুটি হিসেবেও অনন্য মাইলফলক অর্জন করলেন ছোট পর্দার দুই তারকা আফরান নিশো ও মেহ্জাবীন চৌধুরী। তাদের দুজনেরই ৪টি নাটক ২ কোটির মাইলফলক ছুঁয়েছে। এছাড়াও জুটি হিসেবে এ দুজন হ্যাট্রিক করেছেন।

এ জুটির হ্যাট্রিক করা নাটক তিনটি হলো- ‘বুকের বাঁ পাশে’, ‘টম এন্ড জেরী’ ও ‘শিল্পী’। বাকি একটিতে নিশোর সহশিল্পী তানজিন তিশা (এক্স বয়ফ্রেন্ড) এবং অন্যদিকে মেহ্জাবীনের সহশিল্পী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব (বড় ছেলে)।

এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আফরান নিশো বলেন, ‘এই ধরণের সাফল্য তো অবশ্যই ভালো লাগে। দর্শকরা কাজগুলোকে পছন্দ করে, ভালোবাসা প্রকাশ করে; যার কারণে আমাদের অর্জনের পাল্লায় এগুলো যোগ হয়। এতে করে নিজের মধ্যে তখন কাজের স্পৃহাটা আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়। সত্যি বলতে, এই সাফল্যগুলো আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে।

যখন আমার এককভাবে ৪টি নাটক এবং জুটি হিসেবে ৩টি নাটক দিয়ে এভাবে সবার থেকে এগিয়ে যায় তখন স্বভাবতই আমাকে অনেক আনন্দিত করে। জুটি হিসেবেও দর্শকরা যে আমাদেরকে এত বেশি ভালোবাসা দিচ্ছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই অর্জনগুলোর কৃতিত্ব আসলে প্রতিটা টিমের সঙ্গে যুক্ত থাকা সকলের। এ কৃতিত্ব দর্শকদের। তারা এতোটা সাপোর্ট ও ভালোবাসা না দিলে হয়তো আমি আজকে এ অবস্থানে আসতে পারতাম না। এরজন্য আমার সকল ভক্ত অনুরাগী ও দর্শকদের জন্য মন থেকে ভালোবাসা জানাতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার সহকর্মী ও পরিচালকদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলে আসছি যে, ভিউয়ের সাথে কিন্তু মানের কোনো সম্পর্ক নেই। যেই কাজগুলো বেশি জনপ্রিয়তা পায়, সেগুলোরই ভিউ বেশি হয়। একটা কাজের মানদণ্ড কখনোই ভিউ দিয়ে কাউন্ট করা যায় না। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমি ভিউ এবং রিভিউ দুইটাই দেখি। একজন শিল্পীর গুণগত মান এবং জনপ্রিয়তা দুটোই নির্ভর করে ভিউ এবং রিভিউয়ের উপর। এটা একে অপরের পরিপূরক, একটা আরেকটিকে প্লাস করে। একজন শিল্পীকে গুণগত মান বজায় রেখেও কাজ করতে হয়, আবার ভিউয়ের জন্যও; আবার গণমানুষের জন্যেও কিছু কাজ করতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে কাজ করাটাই কিন্তু একজন শিল্পীর কর্তব্য।’

অন্যদিকে মেহ্জাবীন চৌধুরী বলেন, ‘আমি আসলে রেকর্ড নিয়ে কখনোই চিন্তিত নই, আমি শুধু আমার কাজটা নিয়ে ভাবি সবসময়। নিজের কাজটা কীভাবে আরও ভালো করা যায়,সবসময় সেটা নিয়ে চিন্তা করি। নিজেকে সময় দেই, গল্পে-চরিত্রে সময় দেই। নিজেকে যতটা ইম্প্রুভ করতে পারবো ততই ভালো কাজ করতে পারবো। আমি এটাই বিশ্বাস করি। তবে এটাও ঠিক যে, রেকর্ড বলি বা অর্জন বলি; যখন এই বিষয়গুলো দেখি তখন একটা ভালো লাগা কাজ করে। দর্শকরা কাজগুলো পছন্দ করছেন, দেখছেন। একটা কাজ করার পর যদি সেটা দর্শক পর্যন্ত না পৌঁছায় তাহলে সেটা তো সফল না। কাজগুলো অবশ্যই দর্শক পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। আর এটাকে যদি রেকর্ড হিসেবেই দেখি, তার মানে দর্শক কাজগুলোকে পছন্দ করেছেন। অর্থাৎ কাজগুলো সফল। দিনশেষে আমরা যারা শিল্পী তারা কিন্তু দর্শকদের জন্যই কাজ করি।’