৩১ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে নৌকার প্রার্থী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:২০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • / 261
চলমান দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারে আগেই জয়ের পথে আওয়ামী লীগের ৩১ জন প্রার্থী। এখন মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হলেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এছাড়াও যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে।

এরআগে প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৩৬৫ ইউপির মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলন ৭৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে প্রথম ধাপের গত ২০ জুন অনুষ্ঠিত ২০৪টি ইউপির মধ্যে ২৮ জন এবং স্থগিত হওয়া ১৬০ ইউপির ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪৫ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ইসি সূত্র জানা যায়, আগামী ১১ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪ হাজার ৭৫ জন প্রার্থী। নির্বাচনে ৮৩৮টিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তবে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাতটি এবং রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার একটি ইউপিতে আওয়ামী লীগে কোনো প্রার্থী নেই।

অন্যদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২ হাজার ৬৫৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর দলীয় প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) ১০৭, ইসলামী আন্দোলনের ৩৬৮, জেপির ৩, জাকের পার্টির ৪৯, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ২৬ ও কমিউনিস্ট পার্টির ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তবে দলীয় প্রতীক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বিএনপির কোন প্রার্থী।

ইসি জানায়, দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬ মধ্যে ৩১টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়ন বৈধ হলেই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

যেসব ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছে: সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ, যশোর চৌগাছার ফুলসারা, মাগুরা সদরের হাজরাপুর, বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়া, মোল্লাহাটের গাংনী, জামালপুর সদরের রশিদপুর, শেরপুর সদরের কামারেরচর, কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরের বলিয়ারদি, হালিমপুর, মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বায়রা, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ও ভুলতা।

এছাড়াও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর, মুরাদপুর, কুমিরা, সোনাইছড়ি, মিরসরাইয়ের করেরহাট, ধুম, ওসমানপুর, কাটাছাড়া, মঘাদিয়া, মায়ানী, হাইতকান্দি, ইছাখালী, কুমিল্লা লাকসামের কান্দিরপাড়, গোবিন্দপুর, উত্তরদা, আজগরা, লাকসাম পূর্ব, ফেনীর ফুলগাজীর ফুলগাজী ও আনন্দপুর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৩১ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে নৌকার প্রার্থী

আপডেট : ০২:২০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
চলমান দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারে আগেই জয়ের পথে আওয়ামী লীগের ৩১ জন প্রার্থী। এখন মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হলেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এছাড়াও যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে।

এরআগে প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৩৬৫ ইউপির মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলন ৭৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে প্রথম ধাপের গত ২০ জুন অনুষ্ঠিত ২০৪টি ইউপির মধ্যে ২৮ জন এবং স্থগিত হওয়া ১৬০ ইউপির ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪৫ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ইসি সূত্র জানা যায়, আগামী ১১ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৪ হাজার ৭৫ জন প্রার্থী। নির্বাচনে ৮৩৮টিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তবে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাতটি এবং রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার একটি ইউপিতে আওয়ামী লীগে কোনো প্রার্থী নেই।

অন্যদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২ হাজার ৬৫৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর দলীয় প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) ১০৭, ইসলামী আন্দোলনের ৩৬৮, জেপির ৩, জাকের পার্টির ৪৯, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ২৬ ও কমিউনিস্ট পার্টির ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তবে দলীয় প্রতীক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বিএনপির কোন প্রার্থী।

ইসি জানায়, দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬ মধ্যে ৩১টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়ন বৈধ হলেই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

যেসব ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছে: সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ, যশোর চৌগাছার ফুলসারা, মাগুরা সদরের হাজরাপুর, বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়া, মোল্লাহাটের গাংনী, জামালপুর সদরের রশিদপুর, শেরপুর সদরের কামারেরচর, কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরের বলিয়ারদি, হালিমপুর, মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বায়রা, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ও ভুলতা।

এছাড়াও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর, মুরাদপুর, কুমিরা, সোনাইছড়ি, মিরসরাইয়ের করেরহাট, ধুম, ওসমানপুর, কাটাছাড়া, মঘাদিয়া, মায়ানী, হাইতকান্দি, ইছাখালী, কুমিল্লা লাকসামের কান্দিরপাড়, গোবিন্দপুর, উত্তরদা, আজগরা, লাকসাম পূর্ব, ফেনীর ফুলগাজীর ফুলগাজী ও আনন্দপুর।