নথি গায়েব: ছায়া তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সিআইডি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • / 188
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েব হওয়ার ঘটনায় ছায়া তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুপুরে একটি মাইক্রোবাসে করে সিআইডি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে ।

রোববার সকালে তদন্তের কাজে সচিবালয়ে যায় ‘সিআইডি ক্রাইম সিন’। তারা সচিবালয় তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষে (এ কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) এসে আলামত সংগ্রহ করেন। এ কক্ষে কর্মরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা।

দুপুর ১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই কক্ষের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একটি মাইক্রোবাসে করে সিআইডি কার্যালয়ে নেয়া হয়। তারা হলেন—জোসেফ, আয়শা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সাল।

স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. শাহাদাৎ হোসাইন কক্ষটির সঙ্গে লাগোয়া একটি কক্ষে বসেন। এছাড়া এখানে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) কাজী আনোয়ার হোসেনসহ বসেন কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এখানে একটি ঘটনা ঘটেছে। মামলা হয়নি, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আমাদেরকে বলা হয়েছে, আমরা যেন ছায়া তদন্ত করি।

তিনি বলেন, টিম ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছে। এটা তদন্তের একটি অংশ। পরবর্তীতে হয়তো আরও বিস্তারিত বলতে পারবো।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার জিডিটি করেন।

এদিকে, নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর, উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও উপসচিব মল্লিকা খাতুন। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নথি গায়েব: ছায়া তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সিআইডি

আপডেট : ১১:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েব হওয়ার ঘটনায় ছায়া তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুপুরে একটি মাইক্রোবাসে করে সিআইডি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে ।

রোববার সকালে তদন্তের কাজে সচিবালয়ে যায় ‘সিআইডি ক্রাইম সিন’। তারা সচিবালয় তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষে (এ কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) এসে আলামত সংগ্রহ করেন। এ কক্ষে কর্মরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা।

দুপুর ১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই কক্ষের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একটি মাইক্রোবাসে করে সিআইডি কার্যালয়ে নেয়া হয়। তারা হলেন—জোসেফ, আয়শা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সাল।

স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. শাহাদাৎ হোসাইন কক্ষটির সঙ্গে লাগোয়া একটি কক্ষে বসেন। এছাড়া এখানে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) কাজী আনোয়ার হোসেনসহ বসেন কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এখানে একটি ঘটনা ঘটেছে। মামলা হয়নি, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আমাদেরকে বলা হয়েছে, আমরা যেন ছায়া তদন্ত করি।

তিনি বলেন, টিম ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছে। এটা তদন্তের একটি অংশ। পরবর্তীতে হয়তো আরও বিস্তারিত বলতে পারবো।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার জিডিটি করেন।

এদিকে, নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর, উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও উপসচিব মল্লিকা খাতুন। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।