নতুন নামের অপেক্ষায় ইসি ভবনের ফলকগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৯:০৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 219
কেএম নূরুল হুদার কমিশন চলে যাওয়ার পরপরই দরজার পাশে লাগানো তাদের নামফলক তুলে ফেলা হয়েছে। রুমগুলো রঙ করা ও আসবাবপত্র ঘষামাজা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গিয়ে দেখা যায়, সিইসির কক্ষের দরজার সামনে ‘কে এম নূরুল হুদা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার’লেখা ফলকটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অন্যান্য কমিশনারদের নামফলকও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সাবেক সিইসির একান্ত সচিব একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, নতুন কমিশনারদের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য রুমগুলো নতুন করে রঙ করা হচ্ছে। ঘষামাজা করা হচ্ছে আসবাবপত্র।

বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) শূন্য রয়েছে ভবনটি। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বেশি সময় লাগলেও আইনের ব্যত্যয় হবে না বলে-এর আগে জানান আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক। বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন কমিশন গঠিত না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানে কিংবা আইনে এ ধরনের কোনো শূন্যতার কথা নেই। সেজন্য সোমবার এই কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এবং তারপরও যদি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে একটু বিলম্ব হয়, তা আইনে শূন্যতা হিসেবে গণ্য হবে না। এই সময় সচিব সাচিবিক দায়িত্বপালন করবেন।

এর আগে সোমবার মেয়াদের পাঁচ বছর পূর্ণ করে বিদায় নেয় হুদা কমিশন। বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। দায়িত্ব পালনকালে নিজের কোনো ব্যর্থতা নেই বলে মন্তব্য করেন সদ্য সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

বিদায়ী ভাষণে নূরুল হুদা বলেন, গত পাঁচ বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো সবগুলো নির্বাচন শেষ করা। আমরা নির্বাচনগুলো শেষ করতে পেরেছি, এটি বড় সফলতা। ওই সব নির্বাচনে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পেরেছেন। এসময় বিদায়ী কমিশন সফল বলেও দাবি করেন তিনি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২ জন ব্যক্তি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে ও ২৭ জন ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

এ পর্যন্ত সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট নাগরিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে প্রাপ্ত ৩২২ টি নামের তালিকা প্রকাশ করছে। সোমবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নতুন নামের অপেক্ষায় ইসি ভবনের ফলকগুলো

আপডেট : ০৯:০৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
কেএম নূরুল হুদার কমিশন চলে যাওয়ার পরপরই দরজার পাশে লাগানো তাদের নামফলক তুলে ফেলা হয়েছে। রুমগুলো রঙ করা ও আসবাবপত্র ঘষামাজা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গিয়ে দেখা যায়, সিইসির কক্ষের দরজার সামনে ‘কে এম নূরুল হুদা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার’লেখা ফলকটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অন্যান্য কমিশনারদের নামফলকও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সাবেক সিইসির একান্ত সচিব একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, নতুন কমিশনারদের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য রুমগুলো নতুন করে রঙ করা হচ্ছে। ঘষামাজা করা হচ্ছে আসবাবপত্র।

বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) শূন্য রয়েছে ভবনটি। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বেশি সময় লাগলেও আইনের ব্যত্যয় হবে না বলে-এর আগে জানান আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক। বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন কমিশন গঠিত না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানে কিংবা আইনে এ ধরনের কোনো শূন্যতার কথা নেই। সেজন্য সোমবার এই কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এবং তারপরও যদি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে একটু বিলম্ব হয়, তা আইনে শূন্যতা হিসেবে গণ্য হবে না। এই সময় সচিব সাচিবিক দায়িত্বপালন করবেন।

এর আগে সোমবার মেয়াদের পাঁচ বছর পূর্ণ করে বিদায় নেয় হুদা কমিশন। বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। দায়িত্ব পালনকালে নিজের কোনো ব্যর্থতা নেই বলে মন্তব্য করেন সদ্য সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

বিদায়ী ভাষণে নূরুল হুদা বলেন, গত পাঁচ বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো সবগুলো নির্বাচন শেষ করা। আমরা নির্বাচনগুলো শেষ করতে পেরেছি, এটি বড় সফলতা। ওই সব নির্বাচনে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পেরেছেন। এসময় বিদায়ী কমিশন সফল বলেও দাবি করেন তিনি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২ জন ব্যক্তি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে ও ২৭ জন ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

এ পর্যন্ত সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট নাগরিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে প্রাপ্ত ৩২২ টি নামের তালিকা প্রকাশ করছে। সোমবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।