প্রতারক সব ই-কমার্সের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 195
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, ইভ্যালির মতো গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, সম্প্রতি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এসেছে। ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনা কিংবা বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ের করতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শও করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের প্রতারকদের বেশি বেশি ধরা হলে ধীরে ধীরে প্রতারণা কমে আসবে। আমরা চাই সুন্দর একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম ফিরে আসুক। দেশে ই-কমার্স প্রসারিত হোক।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হাফিজ আক্তার বলেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারি কোনো নীতিমালা ছিলো না। তবে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নীতিমালা করা হয়েছে তার আলোকে কেউ যদি ই-কমার্স ব্যবসা করে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহযোগিতা করবে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান নীতিমালার আলোকে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া, সঠিক সময়ে তাদের পণ্য দিচ্ছে কিনা, পাশাপাশি বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ইভ্যালির সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিকেলেই রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রতারক সব ই-কমার্সের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

আপডেট : ১১:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, ইভ্যালির মতো গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, সম্প্রতি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এসেছে। ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনা কিংবা বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ের করতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শও করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের প্রতারকদের বেশি বেশি ধরা হলে ধীরে ধীরে প্রতারণা কমে আসবে। আমরা চাই সুন্দর একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম ফিরে আসুক। দেশে ই-কমার্স প্রসারিত হোক।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হাফিজ আক্তার বলেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারি কোনো নীতিমালা ছিলো না। তবে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নীতিমালা করা হয়েছে তার আলোকে কেউ যদি ই-কমার্স ব্যবসা করে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহযোগিতা করবে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান নীতিমালার আলোকে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া, সঠিক সময়ে তাদের পণ্য দিচ্ছে কিনা, পাশাপাশি বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ইভ্যালির সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিকেলেই রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।