তামাক পরিবেশ ধ্বংস করছে
- আপডেট : ১২:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৩১ মে ২০২১
- / 301
তামাক জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন ও বারসিক।
সোমবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন ও বারসিক এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সংগঠন দুটি এই অভিযোগ করে।
‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে ‘করোনা অতিমারিতে নগরের নিম্ন আয়ের মানুষসহ সকলে মিলে তামাকমুক্ত নগর গড়ি’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় ও বিপণন নিয়ন্ত্রণে পবা ও বারসিক ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবি হলো- তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন নয়, চাই এর বাস্তবসম্মত প্রয়োগ, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে হবে, তামাকদ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে আলাদাভাবে লাইসেন্স প্রদান করার ব্যবস্থা করতে হবে, তামাকজাত দ্রব্যকে নিরুৎসাহিত করতে নগরে এবং গ্রামের পাশাপাশি স্কুল, কলেজসহ সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কার্যকর জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে, ১৮ বছরের কম বয়সীদেরকে তামাকদ্রব্য গ্রহণের জন্য শান্তিমূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে ও পাবলিক প্লেসে ধুমপানসহ মাদকদ্রব্যগ্রহণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে এবং সরকারী উদ্যোগে সকল মিডিয়াতে তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রুমান হক বলেন, সুনির্দিষ্ট কর কাঠামোর মাধ্যমে তামাকের কর বাড়াতে হবে এবং তামাক জাতীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। আর যুব সমাজকে তামাক থেকে মুক্ত করার জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেন, যতদিন তামাক পুরোপুরি নিষিদ্ধ না হচ্ছে ততদিন যত্রতত্র তামাক জাতীয় পণ্য বিক্রি বন্ধ করে সুনির্দিষ্ট স্থানে বিক্রি করতে হবে। আর অধিক কর আরোপ ও আইনের যথার্থ ব্যবহার করতে হবে।
তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের তামাক বিরোধী আইন সংশোধন করে আরও যুগোপযোগী করতে হবে।
পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান ও বারসিকের অঞ্চল সমন্বয়কারী মো. শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রোমান হক, মাদবদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ, বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, দ্যা ইউনিয়নের টেকনিক্যাল এডভাইজার সৈয়দ মাহবুবুল আলম, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল হেলাল আহমেদ, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, মানিকগঞ্জ থেকে শাহাদৎ হোসেন বাদল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।