ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান ১২ হাজারের উপরে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
  • / 117
সারাদেশে ১২ হাজার ৫৯২টি ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘লাইসেন্স দেয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৯২টি ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান শনাক্ত করা হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত ও লাইসেন্স দেয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৫৫টি জেলা কার্যালয় ও আটটি বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিত দোকান পরিদর্শন করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত হলে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। লাইসেন্সবিহীন দোকান মালিকদের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে ড্রাগ লাইসেন্স নেয়ার সুযোগ আছে।’

ক্ষমতাসীন দলের আরেক এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি প্রতিরোধে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। এর বিরুদ্ধে সরকার নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২০২০ থেকে ২০২১ অর্থবছর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক হাজার ৭১৫টি মামলা দায়ের করেছে। এ পর্যন্ত সাত কোটি ৫৮ লাখ ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৪৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে হোমিও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৭টি, হারবাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৪টি, অ্যালোপ্যাথিক প্রতিষ্ঠান ৫টি, ইউনানী প্রতিষ্ঠান ৬টি এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৪টি। একই সময়ে ১৪টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সব ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান ১২ হাজারের উপরে

আপডেট : ১২:০৩:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
সারাদেশে ১২ হাজার ৫৯২টি ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘লাইসেন্স দেয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৯২টি ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান শনাক্ত করা হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত ও লাইসেন্স দেয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৫৫টি জেলা কার্যালয় ও আটটি বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিত দোকান পরিদর্শন করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত হলে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। লাইসেন্সবিহীন দোকান মালিকদের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে ড্রাগ লাইসেন্স নেয়ার সুযোগ আছে।’

ক্ষমতাসীন দলের আরেক এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি প্রতিরোধে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। এর বিরুদ্ধে সরকার নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২০২০ থেকে ২০২১ অর্থবছর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক হাজার ৭১৫টি মামলা দায়ের করেছে। এ পর্যন্ত সাত কোটি ৫৮ লাখ ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৪৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে হোমিও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৭টি, হারবাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৪টি, অ্যালোপ্যাথিক প্রতিষ্ঠান ৫টি, ইউনানী প্রতিষ্ঠান ৬টি এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৪টি। একই সময়ে ১৪টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সব ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়।