এবার দেখা মিলছে ভিন্নধারার অণুজীব

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৭:০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 213
কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভাইরাসটি তার জিনগত পরিবর্তন করেছে। তবে এবার দেখা মিলছে ভিন্নধারার অণুজীব। যা ডায়রিয়াসহ নানা উপসর্গের কারণ।

এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।

অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান জানান, দেশে করোনা আক্রান্তদের নানা ধরণের শারীরিক উপসর্গের মধ্যে বেশি ছিলো মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ডায়রিয়াসহ পেটের পীড়া। কিন্তু এসব উপসর্গের কারণ এতদিন ছিলো অজানা। এছাড়া রোগীর শরীরে সুযোগ সন্ধানী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায় সেই সঙ্গে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়।

এর আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে। এতে সকল নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অস্থিত্ব পাওয়া যায় এবং তারমধ্যে ৪টি নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিকতর সংক্রমণশীল লিনিয়েজ (বিএ২) শনাক্ত করা হয়। সিকোয়েন্সকৃত নমুনা সমূহের বিশ্লেষণে উল্লেখযোগ্য মিউটিশনের উপস্থিতি পাওয়া যায় (সর্বোচ্চ ৬৮টি স্থানে)। জিনোম সিকোয়েন্স করা ১০টি নমুনার মধ্যে ৯ জন পুরুষের ও এক জন মহিলার। তাছাড়া ওমিক্রনের সংক্রমণশীল লিনিয়েজ শনাক্ত হওয়া চারজনের একজন নারী ও বাকি তিনজন পুরুষ।

গবেষকরা জানান, আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু। অধিকাংশ রোগীর গলা ব্যথা, সর্দি ও মৃদু জ্বর ছাড়া মারাত্মক কোনো লক্ষণ ছিল না। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি এবং কোনো রোগী মৃত্যুবরণ করেননি।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যৌথ গবেষণায় পাওয়া যায় চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের ৭৫ শতাংশই ওমিক্রণ আক্রান্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এবার দেখা মিলছে ভিন্নধারার অণুজীব

আপডেট : ০৭:০১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভাইরাসটি তার জিনগত পরিবর্তন করেছে। তবে এবার দেখা মিলছে ভিন্নধারার অণুজীব। যা ডায়রিয়াসহ নানা উপসর্গের কারণ।

এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।

অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান জানান, দেশে করোনা আক্রান্তদের নানা ধরণের শারীরিক উপসর্গের মধ্যে বেশি ছিলো মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ডায়রিয়াসহ পেটের পীড়া। কিন্তু এসব উপসর্গের কারণ এতদিন ছিলো অজানা। এছাড়া রোগীর শরীরে সুযোগ সন্ধানী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায় সেই সঙ্গে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়।

এর আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে। এতে সকল নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অস্থিত্ব পাওয়া যায় এবং তারমধ্যে ৪টি নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিকতর সংক্রমণশীল লিনিয়েজ (বিএ২) শনাক্ত করা হয়। সিকোয়েন্সকৃত নমুনা সমূহের বিশ্লেষণে উল্লেখযোগ্য মিউটিশনের উপস্থিতি পাওয়া যায় (সর্বোচ্চ ৬৮টি স্থানে)। জিনোম সিকোয়েন্স করা ১০টি নমুনার মধ্যে ৯ জন পুরুষের ও এক জন মহিলার। তাছাড়া ওমিক্রনের সংক্রমণশীল লিনিয়েজ শনাক্ত হওয়া চারজনের একজন নারী ও বাকি তিনজন পুরুষ।

গবেষকরা জানান, আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু। অধিকাংশ রোগীর গলা ব্যথা, সর্দি ও মৃদু জ্বর ছাড়া মারাত্মক কোনো লক্ষণ ছিল না। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি এবং কোনো রোগী মৃত্যুবরণ করেননি।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যৌথ গবেষণায় পাওয়া যায় চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের ৭৫ শতাংশই ওমিক্রণ আক্রান্ত।