ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দেবো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • / 206

বিটিআরসি সভাকক্ষে ‘এক দেশ এক রেট’ ট্যারিফের উদ্বোধন।

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

মন্ত্রী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে চাই। চর, দ্বীপ সব জায়গায় ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে কাজ চলছে। ইন্টারনেট জনগণের মৌলিক অধিকার।

রোববার বিটিআরসি সভাকক্ষে ‘এক দেশ এক রেট’ ট্যারিফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ব্রডব্যান্ডের ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১০ এমবিপিএস ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০ টাকা। তবে এর সঙ্গে গ্রাহককে ৫% কর দিতে হবে।

মোস্তফা জব্বার বলেন, সারাদেশে ইন্টারনেটের একই মূল্য হওয়ায় ‘গ্রাম হবে শহর’ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ হতে চলেছে। শুধু শহরে নয় ইউনিয়ন পর্যায়েও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। দেশে এখন যত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী আছেন তাদের ৬৫ ভাগ ফোন দেশেই এসেম্বলি করা হচ্ছে। স্যামস্যাংও দেশে এসেম্বলি করা এসব ফোনের প্রশংসা করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বেঁচে আছি, এ দিনটি দেখতে পারছি এটাই আনন্দের বিষয়। ৫০ বছর আগে যখন মায়ের চোঁখের পানির উপর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম তখন আমিও ভাবিনি মা কে দেখবো। মা নিজেও ভাবেননি সে তার ছেলেকে দেখবে। এসময় তিনি আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে মোস্তফা জব্বার বলেন, আমাদের ভাগ্য যে, শেখ হাসিনার মত প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। আর ডাক ও টেলিযোগাযোগে যদি কোনো নিবেদিত মানুষ থাকেন তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি বাংলায় টাইপ করে প্রেস রিলিজ বানিয়ে পত্রিকা অফিসে পাঠাতেন। লাঙ্গল-জোয়ালের দেশ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করেছেন। এসময় সজীব ওয়াজেদ জয়কে তিনি এ জন্য ধন্যবাদও জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, বিটিআরসির যতগুলো ভালো কাজ হয় তার মধ্যে অন্যতম এটি। শহরের সকল সুবিধা গ্রামে নিয়ে যাওয়া এর মাধ্যমে সম্ভব হবে। এছাড়াও আপনারা জানেন, একজন ইন্টারনেট প্রোভাইডার এক এক রকম রেট গ্রাহকদের থেকে নিচ্ছিল। তবে একদেশ একরেটের কারণে তা আর সম্ভব হবে না। এর ফলে গ্রাহক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দূরত্ব কমলো।

সচিব আরো জানান, বর্তমানে দেশে ১৭ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ১১ কোটি মানুষ। তবে অধিকাংশ গ্রাহক মোবাইলে ইন্টারনেট কিনে ব্যবহার করেন। আজ নগর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য এক দেশ এক রেট চুড়ান্ত ট্যারিফটি অনুমোদন হলো এর ফলে গ্রামের মানুষ সুফল পাবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, কমিশনার (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দেবো

আপডেট : ০১:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

মন্ত্রী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে চাই। চর, দ্বীপ সব জায়গায় ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে কাজ চলছে। ইন্টারনেট জনগণের মৌলিক অধিকার।

রোববার বিটিআরসি সভাকক্ষে ‘এক দেশ এক রেট’ ট্যারিফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ব্রডব্যান্ডের ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১০ এমবিপিএস ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০ টাকা। তবে এর সঙ্গে গ্রাহককে ৫% কর দিতে হবে।

মোস্তফা জব্বার বলেন, সারাদেশে ইন্টারনেটের একই মূল্য হওয়ায় ‘গ্রাম হবে শহর’ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ হতে চলেছে। শুধু শহরে নয় ইউনিয়ন পর্যায়েও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। দেশে এখন যত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী আছেন তাদের ৬৫ ভাগ ফোন দেশেই এসেম্বলি করা হচ্ছে। স্যামস্যাংও দেশে এসেম্বলি করা এসব ফোনের প্রশংসা করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বেঁচে আছি, এ দিনটি দেখতে পারছি এটাই আনন্দের বিষয়। ৫০ বছর আগে যখন মায়ের চোঁখের পানির উপর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম তখন আমিও ভাবিনি মা কে দেখবো। মা নিজেও ভাবেননি সে তার ছেলেকে দেখবে। এসময় তিনি আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে মোস্তফা জব্বার বলেন, আমাদের ভাগ্য যে, শেখ হাসিনার মত প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। আর ডাক ও টেলিযোগাযোগে যদি কোনো নিবেদিত মানুষ থাকেন তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি বাংলায় টাইপ করে প্রেস রিলিজ বানিয়ে পত্রিকা অফিসে পাঠাতেন। লাঙ্গল-জোয়ালের দেশ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করেছেন। এসময় সজীব ওয়াজেদ জয়কে তিনি এ জন্য ধন্যবাদও জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, বিটিআরসির যতগুলো ভালো কাজ হয় তার মধ্যে অন্যতম এটি। শহরের সকল সুবিধা গ্রামে নিয়ে যাওয়া এর মাধ্যমে সম্ভব হবে। এছাড়াও আপনারা জানেন, একজন ইন্টারনেট প্রোভাইডার এক এক রকম রেট গ্রাহকদের থেকে নিচ্ছিল। তবে একদেশ একরেটের কারণে তা আর সম্ভব হবে না। এর ফলে গ্রাহক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দূরত্ব কমলো।

সচিব আরো জানান, বর্তমানে দেশে ১৭ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ১১ কোটি মানুষ। তবে অধিকাংশ গ্রাহক মোবাইলে ইন্টারনেট কিনে ব্যবহার করেন। আজ নগর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য এক দেশ এক রেট চুড়ান্ত ট্যারিফটি অনুমোদন হলো এর ফলে গ্রামের মানুষ সুফল পাবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, কমিশনার (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন প্রমুখ।