ঢাকা ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা: তৃতীয় ডোজের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দ্বিতীয় ডোজের মতোই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 93
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (সাইড অ্যাফেক্ট) কতোটা প্রকট হবে, এ নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। মার্কিন গবেষকরা বলছেন, এ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তেমন প্রকট নয়; মৃদু বা মধ্যম ধরনের। খবর এনডিটিভির।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এ তথ্য জানায়। সিডিসির পক্ষ থেকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেয়া ২২ হাজারের বেশি মানুষের উপর এ গবেষণা চালানো হয়। তারা গত ১২ আগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। তবে এ ডোজ কেবল তাদের দেয়া হচ্ছে, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমেই কমে যাচ্ছিল। এ কারণে গণহারে বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে না।

সিডিসির পরিচালক রোচেলি ওয়ালেনস্কি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর যে ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তৃতীয় ডোজের ক্ষেত্রেও একই ধরন ও প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এটা মৃদু, মধ্যম ও স্বল্প সময়ের জন্য হয়ে থাকে।’

গবেষণায় দেখা গেছে, ৭১ শতাংশ বুস্টার ডোজ গ্রহণকারী জানিয়েছেন, টিকা নেয়ার স্থানটিতে তারা ব্যাথা অনুভব করছেন; ৫৬ শতাংশ ক্লান্তি বোধ করেছেন। এদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ মাথা ব্যাথা হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

বুস্টার টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে দুই শতাংশকে চিকিৎসা নিয়ে হয়েছে। মাত্র দশমিক ১ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

করোনা: তৃতীয় ডোজের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দ্বিতীয় ডোজের মতোই

আপডেট : ০১:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (সাইড অ্যাফেক্ট) কতোটা প্রকট হবে, এ নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। মার্কিন গবেষকরা বলছেন, এ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তেমন প্রকট নয়; মৃদু বা মধ্যম ধরনের। খবর এনডিটিভির।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এ তথ্য জানায়। সিডিসির পক্ষ থেকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেয়া ২২ হাজারের বেশি মানুষের উপর এ গবেষণা চালানো হয়। তারা গত ১২ আগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। তবে এ ডোজ কেবল তাদের দেয়া হচ্ছে, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমেই কমে যাচ্ছিল। এ কারণে গণহারে বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে না।

সিডিসির পরিচালক রোচেলি ওয়ালেনস্কি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর যে ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তৃতীয় ডোজের ক্ষেত্রেও একই ধরন ও প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এটা মৃদু, মধ্যম ও স্বল্প সময়ের জন্য হয়ে থাকে।’

গবেষণায় দেখা গেছে, ৭১ শতাংশ বুস্টার ডোজ গ্রহণকারী জানিয়েছেন, টিকা নেয়ার স্থানটিতে তারা ব্যাথা অনুভব করছেন; ৫৬ শতাংশ ক্লান্তি বোধ করেছেন। এদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ মাথা ব্যাথা হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

বুস্টার টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে দুই শতাংশকে চিকিৎসা নিয়ে হয়েছে। মাত্র দশমিক ১ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেয়া হচ্ছে।