ফেসবুকের গুমর ফাঁস করলেন চাকরিচ্যুত কর্মী
- আপডেট : ০১:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
- / 127
সিএনএন জানায়, স্থানীয় সময় গত রোববার রাতে হাউগেন ‘সিক্সটিন মিনিটস্’ নামের একটি অনুষ্ঠানে ফেসবুক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। ফেসবুকের সাবেক এ প্রোডাকসন ম্যানেজার জানান, বিভিন্ন নথি থেকে এটা দেখা গেছে যে, ফেসবুক জানে তাদের প্লাটফর্মটি ঘৃণা, সহিংসতা ও ভুয়া তথ্য ছড়াতেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা প্রমাণ গোপন রাখার চেষ্টা করে।
ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় তুলে ধরেন হাউগেন। তিনি জানান, তিনি দেখেছেন- ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বার বার একটি বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে থেকেছে যে, কোনটা তাদের জন্য ভালো আর কোনটা ব্যবহারকারীদের জন্য। এ ক্ষেত্রে সব সময়ই ফেসবুক তার নিজের স্বার্থের দিকটা দেখেছে। আর সেটা হলো- অর্থ কামানো।
ফেসবুকের বেশ কিছু নথি হাউগেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সঙ্গে শেয়ার করেছেন, যা নিজে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করছে। এসব প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, তাদের মাধ্যমটির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে তারা সচেতন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাউগেন যেসব তথ্য পেয়েছেন, তাতে তিনি নিজেও বিস্মিত। হাউগেন জানান, কোম্পানীটির (ফেসবুক) নীতি অভিজাতদের পক্ষে। তার অভিযোগ, ফেসবুক কখনো বিশৃঙ্খলাকে উসকে দেয়; মাদক ব্যবসায়ী ও মানব পাচারকারীরা অনেকটা প্রকাশ্যে ফেসবুকের সেবা নিচ্ছেন। হাউগেন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এসব বক্তব্য সামনে আনায় তাকে ‘ধরা’ হতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ২০১৯ সালের জুনে ফেসবুকের সঙ্গে কাজ শুরু করেন ফ্রান্সিস হাউগেন। তার কর্মী দলের সদস্য সংখ্যা ছিলেন ২০০ জন। তাদের উপর দায়িত্ব ছিল, বিশ্বব্যাপী যেসব নির্বাচন চলছে, সেগুলোর প্রচার-পর্যবেক্ষণ করা; অর্থাৎ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেসবুকে কেউ বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে কিনা।
খুব অল্প লোকজন নিয়ে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম চালাচ্ছে ফেসবুক- এমন অভিযোগও করেন হাউগেন। তিনি বলেন, ‘আমি বলতাম কোনো আরও বেশি লোক (কর্মী) নেয়া হয় না।’ হাউগেন বলেন, ‘ফেসবুক (কর্তৃপক্ষ) এমন ভাব দেখাতো যেনো কোনো লোক নেয়ার সামর্থ্য তাদের নেই।’
এর আগে ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গা ফেসবুক উসকে দিয়েছিল বলে চারদিকে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন হাউগেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষ এ দাবি জোর গলায় অস্বীকার করেছে।