করোনার ‘বিস্ময়-ওষুধ’ আইভারম্যাকটিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন
- আপডেট : ০৩:০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
- / 119
বেশ কয়েক বছর ধরে মানুষ ও জন্তু-জানোয়ারের পরজীবীবিরোধী প্রধান ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে আইভারম্যাকটিন। কিন্তু মহামারি শুরুর পর এ ওষুধের একটি ভিন্ন ব্যবহারের জন্য চারদিকে রব উঠতে থাকে। অনেকেই কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় এ ওষুধের ব্যবহার চাইলেছ। তারা মনে করেন, করোনায় মৃত্যু ঠেকাতে আইভারম্যাকটিন কার্যকর।
এ নিয়ে এবার উঠেপড়ে লেগে যায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য বিভাগগুলো। কিন্তু কোভিড মোকাবেলায় ওষুধটি যে খুব বেশি কার্যকর, তার খুব একটা প্রমাণ তারা পাননি। তাতে কি মানুষের দাবি থেমে আছে? হাজার হাজার টিকাবিরোধীরা দাবি করতে থাকলেন, আইভারম্যাকটিন যেনো করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে অনেকেই কোভিড মোকাবেলায় ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দিতে থাকলেন। এক্ষেত্রে জন্তু-জানোয়ারের জন্য যে আইভারম্যাকটিন ব্যবহৃত হয়, সেটা ব্যবহারের পরামর্শ দিতেও তারা ছাড়লেন না।
গবেষণা বরাত ও বিশ্বাসের উপর ভর করে আইভারম্যাকটিনের ব্যবহার এগিয়ে যেতে থাকলো। কিন্তু এরই মধ্যে বিবিসির এক তদন্তে উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য।
আইভারম্যাকটিনের কার্যকারিতা নিয়ে যে ২৬টি উল্লেখযোগ্য গবেষণা হয়েছে, বিবিসি দাবি করছে, সেগুলোর এক-তৃতীয়াংশই ভুয়া। কোভিড মোকাবেলায় কার্যত কোনো গবেষণায়ই আইভারম্যাকটিনের কার্যকারিতার কথা বলছে না। এ নিয়ে গবেষণায় অংশ নেয়া ড. কাইল শেলড্রিক বলছেন, তারা একটি পরীক্ষায়ও প্রমান পাননি যে আইভারম্যাকটি কোভিডের মৃত্যু ঠেকায়।
বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটিতে করা বড় পরিসরের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, কোভিডের ক্ষেত্রে আইভারম্যাকটিনের আদৌ কোনো ভূমিকা নেই।
সাধারণভাবে আইভারম্যাকটিনকে নিরাপদ ওষুধ মনে করা হয়। তবে মাঝেমধ্যে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও খবর পাওয়া যায়। শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইভারম্যাকটিনের ব্যবহার দেখা গেলেও বর্তমানে অনেক দেশে কোভিড মোকাবেলায় এর ব্যবহার স্থগিত করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে পেরু ও ভারত।