পাক পরমাণু বোমার জনক আবদুল কাদির খানের মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৯:২০:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / 126
পাকিস্তানে পরমাণু বোমার জনক হিসেবে পরিচিত বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদের খান মারা গেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকালে ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৮৫ বছর বয়সী এই গুণী ব্যক্তি।

এদিকে আবদুল কাদের খান করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে জানায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান।

প্রেস অব পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ২৬ আগস্ট আবদুল কাদের খানকে খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রাওয়ালপিন্ডির একটি সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়।

গত মাসে এই পরমাণুবিজ্ঞানী অভিযোগ করে বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেননি।

আবদুল কাদের খানের মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য বড় ক্ষতি বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাট্টাক। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের জন্য তার (আবদুল কাদের খান) অবদানকে পাকিস্তান চিরকাল সম্মান করবে। আমাদের সামরিক সক্ষমতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য আবদুল কাদের খানের কাছে আমরা ঋণী।

১৯৩৬ সালে ভারতের ভোপালে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল কাদের খান। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি পরিবার নিয়ে পাকিস্তানে চলে যান।

আবদুল কাদের খানকে পাকিস্তানিরা ‘একিউকে’বলেন। পাকিস্তানে দলমত-নির্বিশেষে তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। বেসামরিক সব খেতাবই পেয়েছেন। ভালোবেসে তাকে ‘মহসিন-ই-পাকিস্তান’বলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাক পরমাণু বোমার জনক আবদুল কাদির খানের মৃত্যু

আপডেট : ০৯:২০:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
পাকিস্তানে পরমাণু বোমার জনক হিসেবে পরিচিত বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদের খান মারা গেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকালে ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৮৫ বছর বয়সী এই গুণী ব্যক্তি।

এদিকে আবদুল কাদের খান করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে জানায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান।

প্রেস অব পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ২৬ আগস্ট আবদুল কাদের খানকে খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রাওয়ালপিন্ডির একটি সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়।

গত মাসে এই পরমাণুবিজ্ঞানী অভিযোগ করে বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেননি।

আবদুল কাদের খানের মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য বড় ক্ষতি বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাট্টাক। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের জন্য তার (আবদুল কাদের খান) অবদানকে পাকিস্তান চিরকাল সম্মান করবে। আমাদের সামরিক সক্ষমতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য আবদুল কাদের খানের কাছে আমরা ঋণী।

১৯৩৬ সালে ভারতের ভোপালে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল কাদের খান। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি পরিবার নিয়ে পাকিস্তানে চলে যান।

আবদুল কাদের খানকে পাকিস্তানিরা ‘একিউকে’বলেন। পাকিস্তানে দলমত-নির্বিশেষে তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। বেসামরিক সব খেতাবই পেয়েছেন। ভালোবেসে তাকে ‘মহসিন-ই-পাকিস্তান’বলা হয়।