যুক্তরাজ্যে করোনার প্রকোপ বাড়ছেই, সামনে ‘বিধ্বংসী শীত’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
  • / 148
যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯ এর বিধিনিষেধ চালু করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। শুক্রবার আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, সামনে শীত মৌসুম। এর আগেই করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে হবে। নয়তো শীতে করোনা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে।

যুক্তরাজ্য সরকারের প্রকাশিত নথি থেকে জানা যায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যে ৪৯ হাজার ২৯৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এদিন করোনায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ১৮০ জনের।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে ৫২ হাজার ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত ১৭ জুলাইয়ের পর একদিনে এতো শনাক্ত আর দেখা যায়নি। গত ৯ দিন ধরেই যুক্তরাজ্যে করোনা শনাক্তের হার ৪০ হাজারের বেশি।

শনাক্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যুক্তরাজ্যে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত মঙ্গলবার ২২৩ জনের মৃত্যু হয়, যা মার্চের পর সবচেয়ে বেশি। করোনার কারণে যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ৮ হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ পরিস্থিতি উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তারা দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে করোনা বিধিনিষেধ আরোপ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। সেইসঙ্গে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে জোর আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যে লাখো মানুষকে করোনা টিকার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের ফাইজার-বায়োএনটেকের অন্তত ১ ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছেন।

গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাজ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব মানাও হচ্ছে না। অবশ্য এটা বাধ্যতামূলকও নয়।

করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের কারণে যুক্তরাজ্যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। করোনার এ নতুন ঢেউ মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য টিকাকরণের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যে ভালো করে শীত জেঁকে বসলে করোনার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। তারা আসন্ন শীত মৌসুমকে ‘বিধ্বংসী শীতকাল’ বলছেন।

যুক্তরাজ্যের বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সাইন্টিফিক এডভাইজরি গ্রুপ ফর এমার্জেন্সিস (এসএজিই) এর সদস্য জুবায়দা হক আল জাজিরাকে বলেন, ‘এখন যেভাবে চলছে, এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে আমরা খুবই উদ্বেগজনক ও বিধ্বংসী শীতকাল মোকাবেলা করতে যাচ্ছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যুক্তরাজ্যে করোনার প্রকোপ বাড়ছেই, সামনে ‘বিধ্বংসী শীত’

আপডেট : ১১:১৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯ এর বিধিনিষেধ চালু করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। শুক্রবার আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, সামনে শীত মৌসুম। এর আগেই করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে হবে। নয়তো শীতে করোনা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে।

যুক্তরাজ্য সরকারের প্রকাশিত নথি থেকে জানা যায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যে ৪৯ হাজার ২৯৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এদিন করোনায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ১৮০ জনের।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে ৫২ হাজার ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত ১৭ জুলাইয়ের পর একদিনে এতো শনাক্ত আর দেখা যায়নি। গত ৯ দিন ধরেই যুক্তরাজ্যে করোনা শনাক্তের হার ৪০ হাজারের বেশি।

শনাক্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যুক্তরাজ্যে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত মঙ্গলবার ২২৩ জনের মৃত্যু হয়, যা মার্চের পর সবচেয়ে বেশি। করোনার কারণে যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ৮ হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ পরিস্থিতি উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তারা দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে করোনা বিধিনিষেধ আরোপ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। সেইসঙ্গে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে জোর আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যে লাখো মানুষকে করোনা টিকার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের ফাইজার-বায়োএনটেকের অন্তত ১ ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছেন।

গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাজ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব মানাও হচ্ছে না। অবশ্য এটা বাধ্যতামূলকও নয়।

করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের কারণে যুক্তরাজ্যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। করোনার এ নতুন ঢেউ মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য টিকাকরণের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যে ভালো করে শীত জেঁকে বসলে করোনার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। তারা আসন্ন শীত মৌসুমকে ‘বিধ্বংসী শীতকাল’ বলছেন।

যুক্তরাজ্যের বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সাইন্টিফিক এডভাইজরি গ্রুপ ফর এমার্জেন্সিস (এসএজিই) এর সদস্য জুবায়দা হক আল জাজিরাকে বলেন, ‘এখন যেভাবে চলছে, এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে আমরা খুবই উদ্বেগজনক ও বিধ্বংসী শীতকাল মোকাবেলা করতে যাচ্ছি।’