গ্রিনহাউস গ্যাসের নতুন রেকর্ড: বাস অযোগ্য হচ্ছে পৃথিবী?
- আপডেট : ০১:৫৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
- / 104
ডব্লিউএমও-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি, সেই কার্বন-ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব বর্তমানে শিল্প বিপ্লবের আগের সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। ব্যাপকভাবে জ্বীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহারের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাতাসে অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের পরিমানও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এ গ্যাসের স্তর ১৭৫০ সালের পর বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদটিতে আরও ভয়ঙ্কর যে তথ্যটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি হলো- গত দশকের তুলনায় ২০২০ সালের দিকে মূল সব গ্রিনহাউস গ্যাস দ্রুত গতিতে বেড়েছে। ২০২১ সালেও এ ধারা অব্যহত আছে।
ডব্লিউএমও প্রধান অধ্যাপক পেট্টেরি তালাস জানান, নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, জলবায়ু সংকট ক্রমেই অধিকতর খারাপের দিকে যাচ্ছে। তিনি এটাকে গ্লাসগোতে আসন্ন কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য একটা বার্তা বলে বর্ণনা করেছেন।
গ্রিনহাউস গ্যাস বাতাসের উষ্ণতা বাড়ায়। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটে এবং নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তে থাকে। পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ায় মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে। এতে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা।
চোখের সামনেই এখন প্রমাণ দেখাতে শুরু করেছে জলবায়ু পরিবর্তন। গত গ্রীষ্মে কানাডায় তাপমাত্রার রেকর্ড হয়। গরমে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এ সময়। বিশ্বজুড়ে দাবানল বেড়েছে। এ ছাড়া ঘুর্ণিঝড়-জলোচ্ছাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগও বেড়েছে।
বাতাসের উষ্ণতা বাড়ায় মেরু অঞ্চলে বরফ গলে সমুদ্রের পানির স্তর উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। এতে পৃথিবীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস কমাতে উদ্যোগ না নিলে ভয়ানক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে মানুষকে।