আইএস হামলায় তালেবান কমান্ডার নিহত, হাসপাতালের ছাদে হেলিকপ্টার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 145
কাবুলের সেনা হাসপাতালে আইএস (খোরসান) জঙ্গিদের হামলায় তালেবান সরকারের উচ্চপদস্থ এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫। আহতের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি।

সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে বুধবার আনন্দবাজার অনলাইন জানায়, নিহতদের মধ্যে তালেবান সরকারের কমান্ডার হামদুল্লাহ মখলিসও রয়েছেন। তিনি হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্য ছিলেন।

গত আগস্ট মাসে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এমন শীর্ষ স্থানীয় তালেবান নেতার মৃত্যু হয়নি। স্বাভাবিকভাবে মখলিসের মৃত্যুতে উত্তেজনা বেড়েছে কাবুলে।

মঙ্গলবার প্রথমে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ও পর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় অস্ত্রধারীরা। প্রথমে, হাসপাতালের গেটের সামনে আত্মঘাতী হামলা চালায় এক জঙ্গি। তারপর সেই ভেঙে পড়া গেটের সামনে থেকে বন্দুকধারীরা ভেতওে প্রবেশ করে এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।

এর মধ্যে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘হামলার ১৫ মিনিটের মধ্যে জবাব দিয়েছে তালেবানরা। জঙ্গিরা সাধারণ মানুষকে হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল, তবে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই রোধ করা গেছে।’

মুজাহিদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের রেখে যাওয়া একটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে হাসপাতালের ছাদে তালেবান বাহিনী পৌঁছে গিয়েছিল। তারাই হামলাকারীদের হত্যা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, সামরিক হাসপাতালে চালানো ওই আইএস হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, হাসপাতালের ভেতরে কেউ নিহত হননি। তিনি জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীদের লক্ষ্য বানিয়েছিল আইএস।

অপর এক তালেবান কর্মকর্তা বলেন, অন্তত ছয় জঙ্গি এ হামলার সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, হামলার আগে দুটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তালেবানরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আইএস হামলায় তালেবান কমান্ডার নিহত, হাসপাতালের ছাদে হেলিকপ্টার

আপডেট : ১১:০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
কাবুলের সেনা হাসপাতালে আইএস (খোরসান) জঙ্গিদের হামলায় তালেবান সরকারের উচ্চপদস্থ এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫। আহতের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি।

সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে বুধবার আনন্দবাজার অনলাইন জানায়, নিহতদের মধ্যে তালেবান সরকারের কমান্ডার হামদুল্লাহ মখলিসও রয়েছেন। তিনি হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্য ছিলেন।

গত আগস্ট মাসে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এমন শীর্ষ স্থানীয় তালেবান নেতার মৃত্যু হয়নি। স্বাভাবিকভাবে মখলিসের মৃত্যুতে উত্তেজনা বেড়েছে কাবুলে।

মঙ্গলবার প্রথমে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ও পর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় অস্ত্রধারীরা। প্রথমে, হাসপাতালের গেটের সামনে আত্মঘাতী হামলা চালায় এক জঙ্গি। তারপর সেই ভেঙে পড়া গেটের সামনে থেকে বন্দুকধারীরা ভেতওে প্রবেশ করে এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।

এর মধ্যে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘হামলার ১৫ মিনিটের মধ্যে জবাব দিয়েছে তালেবানরা। জঙ্গিরা সাধারণ মানুষকে হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল, তবে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই রোধ করা গেছে।’

মুজাহিদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের রেখে যাওয়া একটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে হাসপাতালের ছাদে তালেবান বাহিনী পৌঁছে গিয়েছিল। তারাই হামলাকারীদের হত্যা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, সামরিক হাসপাতালে চালানো ওই আইএস হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, হাসপাতালের ভেতরে কেউ নিহত হননি। তিনি জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীদের লক্ষ্য বানিয়েছিল আইএস।

অপর এক তালেবান কর্মকর্তা বলেন, অন্তত ছয় জঙ্গি এ হামলার সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, হামলার আগে দুটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তালেবানরা।