বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকলেই ব্যবস্থা: খামেনী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • / 129
ইরানী সমাজের কড়া ইসলামী আইনে নারী-পুরুষের একসাথে থাকা বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্কের মতই অবৈধ। কিন্তু তারপরও দেশটিতে এই সাদা বিয়ে চলছে। বিয়ে ছাড়াই এভাবে একসঙ্গে থাকাকে ইরানে বলা হয় ‘হোয়াইট ম্যারেজ’ বা সাদা বিয়ে। খবর বিবিসি বাংলা

ইরানে এখন বিয়ের আগেই একসাথে থাকছে এমন তরুণ যুগলের সংখ্যা কত তার কোন সরকারি হিসেব নেই। কিন্তু এটা ক্রমশঃই সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হচ্ছে, এবং ইরানের কট্টরপন্থী প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে।

বেশ কয়েক বছর আগে বিবিসির ফারসি বিভাগের রানা রহিমপুর এক রিপোর্টে লিখেছিলেন, ইরানে এই ‘শ্বেত বিবাহে’র প্রচলন এতটাই বেড়ে গেছে যে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়তোল্লাহ আলি খামেনি এক বিবৃতি দিয়ে এ ব্যাপারে তার “গভীর আপত্তি” প্রকাশ করেছিলেন।

তার কার্যালয়ের প্রধান মোহাম্মদ মোহাম্মদী গোলপেগানির ইস্যু করা এক বিবৃতিতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল, কোহ্যাবিটেশন’ বা বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকার বিরুদ্ধে “ব্যবস্থা নেবার ক্ষেত্রে যেন কোন দয়া প্রদর্শন করা না হয়। পুরুষ ও নারীর বিয়ে না করে একসাথে থাকা লজ্জাজনক। যেসব লোকেরা এ জীবন বেছে নিয়েছে তাদের একটি বৈধ প্রজন্মকে অবৈধ প্রজন্ম দিয়ে মুছে দিতে বেশি সময় লাগবে না।

কিন্তু এসব সতর্কবাণী ইরানের তরুণ প্রজন্ম শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। এ শতাব্দীর প্রথম দশকেও ইরানে কোন যুবক-যুবতী সাদা বিয়ে করবে এমনটা অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু এখন এরকম অবিবাহিত দম্পতির সংখ্যা ক্রমশঃই বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকলেই ব্যবস্থা: খামেনী

আপডেট : ১১:১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
ইরানী সমাজের কড়া ইসলামী আইনে নারী-পুরুষের একসাথে থাকা বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্কের মতই অবৈধ। কিন্তু তারপরও দেশটিতে এই সাদা বিয়ে চলছে। বিয়ে ছাড়াই এভাবে একসঙ্গে থাকাকে ইরানে বলা হয় ‘হোয়াইট ম্যারেজ’ বা সাদা বিয়ে। খবর বিবিসি বাংলা

ইরানে এখন বিয়ের আগেই একসাথে থাকছে এমন তরুণ যুগলের সংখ্যা কত তার কোন সরকারি হিসেব নেই। কিন্তু এটা ক্রমশঃই সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হচ্ছে, এবং ইরানের কট্টরপন্থী প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে।

বেশ কয়েক বছর আগে বিবিসির ফারসি বিভাগের রানা রহিমপুর এক রিপোর্টে লিখেছিলেন, ইরানে এই ‘শ্বেত বিবাহে’র প্রচলন এতটাই বেড়ে গেছে যে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়তোল্লাহ আলি খামেনি এক বিবৃতি দিয়ে এ ব্যাপারে তার “গভীর আপত্তি” প্রকাশ করেছিলেন।

তার কার্যালয়ের প্রধান মোহাম্মদ মোহাম্মদী গোলপেগানির ইস্যু করা এক বিবৃতিতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল, কোহ্যাবিটেশন’ বা বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকার বিরুদ্ধে “ব্যবস্থা নেবার ক্ষেত্রে যেন কোন দয়া প্রদর্শন করা না হয়। পুরুষ ও নারীর বিয়ে না করে একসাথে থাকা লজ্জাজনক। যেসব লোকেরা এ জীবন বেছে নিয়েছে তাদের একটি বৈধ প্রজন্মকে অবৈধ প্রজন্ম দিয়ে মুছে দিতে বেশি সময় লাগবে না।

কিন্তু এসব সতর্কবাণী ইরানের তরুণ প্রজন্ম শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। এ শতাব্দীর প্রথম দশকেও ইরানে কোন যুবক-যুবতী সাদা বিয়ে করবে এমনটা অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু এখন এরকম অবিবাহিত দম্পতির সংখ্যা ক্রমশঃই বাড়ছে।