ত্রিপুরায় মানবাধিকার কমিশন কোথায়, প্রশ্ন মমতার
- আপডেট : ০১:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
- / 173
রোববার তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ত্রিপুরার আগরতলায়। তার গ্রেপ্তারির ঘটনা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কোথায় গেল মানবাধিকার কমিশন? ত্রিপুরায় যেভাবে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে, তা সারা দেশ দেখেছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যের এমন শাসন ব্যবস্থায় মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। আমাদের বেলায় তো কত মানবাধিকার কমিশন আর ৩৫৫-র কথা বলা হত। এখন সে সব কোথায়?’
সোমবার সকালেই আগরতলা পৌঁছান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি জানান, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই চলবে।
আর দিল্লি যাওয়ার আগে মমতা বলেন, ‘সায়নী একজন শিল্পী। তাকেও খুনের চেষ্টার মামলায় জড়ানো হয়েছে। কাল রাত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রেখে দেয়া হয়েছে। অভিষেকরা গেছে আজ মিটিং করতে। আমরা কত লোককে যে পিজি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি চিকিৎসা করাতে তার কোনও হিসেব নেই। ওখানে আহতদের চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না।’
সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে মমতার। তার পরই আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক হবে তৃণমূল নেতৃত্বের।
সোমবার সকাল থেকেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দপ্তরের বাইরে তৃণমূল সংসদ সদস্যরা ধর্না (অবস্থান) কর্মসূচিতে রয়েছেন। তারা ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান।
পরে বৈঠকের জন্য সময় দেন অমিত শাহ। নিজ বাসভবনের বাইরে তিনি তৃণমূল সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর তৃণমূল সংসদ সদস্য কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় আমাদের নেত্রীকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; সংসদ সদস্যদের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।’
সূত্রের খবর, ত্রিপুরা নিয়ে আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার কথাও ভাবছেন তৃণমূল সংসদ সদস্যরা। তবে তৃণমূলের রাজ্যসভার উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সন্ধ্যায় দিল্লিতে এলে, তাকে যাবতীয় পরিস্থিতির কথা জানানো হবে। তার নির্দেশেই আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করা হবে।’