‘গুরুতর পরিণতি’ নিয়ে আসতে পারে ওমিক্রন, বলছে হু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
  • / 113
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সতর্ক করে বলেছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী ‘অতি উচ্চ’ ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। সেইসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, এটা বিশ্বের কিছু অঞ্চলে ‘গুরুতর পরিণতি’ নিয়ে আসতে পারে। সোমবার বিবিসি এ খবর জানায়।

হু বলছে, ‘ওমিক্রনের মাধ্যমে যদি আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে, তবে তার পরিণতি হবে গুরুতর।’ তবে এখনও ওমিক্রনের জেরে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।

এর আগে বিশেষজ্ঞরা এ ধরনকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেন। গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। পরে বিশ্বের বহু দেশে এ ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

এ ধরনের খবরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশ তাদের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। জাপান ও ইসরায়েল সব বিদেশি নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের এ ধরন ব্যাপকভাবে মিউটেট (আচরণ পরিবর্তন) করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সংক্রামক রোগ বিষয়ক সংস্থা ইমপেরিয়াল ডিপার্টমেন্ট অব ইনফেকশাস ডিজিজের একজন ভাইরোলজিস্ট নতুন এ ধরনকে ‘ভয়াবহ’ ও ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে খারাপ ধরন’ বলে বর্ণনা করেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুলিও ডি অলিভিয়েরা বলছেন, এ ধরন ‘মিউটেশনের ধারা অস্বাভাবিক’ এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে এটি ‘অনেক ভিন্ন।’

তিনি বলেন, ‘এ ভ্যারিয়েন্ট আমাদের অবাক করেছে। বিবর্তনের হিসেবে এবং পরবর্তী মিউটেশনের হিসেব করলে এটি কয়েক ধাপ লাফ দিয়েছে।’

করোনার এ ধরনটি আগের সব ধরন থেকে বেশ আলাদা। এ কারণে কোভিড ঠেকাতে প্রচলিত টিকা এ ধরন ঠেকাতে কতোটুকু কার্যকর হবে- তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘গুরুতর পরিণতি’ নিয়ে আসতে পারে ওমিক্রন, বলছে হু

আপডেট : ১১:৩১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সতর্ক করে বলেছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী ‘অতি উচ্চ’ ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। সেইসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, এটা বিশ্বের কিছু অঞ্চলে ‘গুরুতর পরিণতি’ নিয়ে আসতে পারে। সোমবার বিবিসি এ খবর জানায়।

হু বলছে, ‘ওমিক্রনের মাধ্যমে যদি আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে, তবে তার পরিণতি হবে গুরুতর।’ তবে এখনও ওমিক্রনের জেরে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।

এর আগে বিশেষজ্ঞরা এ ধরনকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেন। গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। পরে বিশ্বের বহু দেশে এ ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

এ ধরনের খবরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশ তাদের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। জাপান ও ইসরায়েল সব বিদেশি নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের এ ধরন ব্যাপকভাবে মিউটেট (আচরণ পরিবর্তন) করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সংক্রামক রোগ বিষয়ক সংস্থা ইমপেরিয়াল ডিপার্টমেন্ট অব ইনফেকশাস ডিজিজের একজন ভাইরোলজিস্ট নতুন এ ধরনকে ‘ভয়াবহ’ ও ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে খারাপ ধরন’ বলে বর্ণনা করেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুলিও ডি অলিভিয়েরা বলছেন, এ ধরন ‘মিউটেশনের ধারা অস্বাভাবিক’ এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে এটি ‘অনেক ভিন্ন।’

তিনি বলেন, ‘এ ভ্যারিয়েন্ট আমাদের অবাক করেছে। বিবর্তনের হিসেবে এবং পরবর্তী মিউটেশনের হিসেব করলে এটি কয়েক ধাপ লাফ দিয়েছে।’

করোনার এ ধরনটি আগের সব ধরন থেকে বেশ আলাদা। এ কারণে কোভিড ঠেকাতে প্রচলিত টিকা এ ধরন ঠেকাতে কতোটুকু কার্যকর হবে- তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।