ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুম্বাইয়ে মমতা : প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- গুরুত্বপূর্ণ নয়, গণতন্ত্র বাঁচান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 92
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধান বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে এখনই ভাবতে রাজি নন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বাইয়ে বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে বৈঠকে বুধবার তিনি বলেন, ‘কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিজেপিকে সরিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

লোকসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী অবস্থান প্রসঙ্গে ওই বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মমতাকে। পরিচালক মহেশ ভাট প্রশ্ন করেন, অতি অবামপন্থীদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে মমতা কী ভাবছেন।

জবাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়ব। নাগরিক সমাজকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। বিজেপিকে বোল্ড আউট করে দিতে হবে। এটা আপনারাই পারেন।’

মুম্বাই সফরের দ্বিতীয় দিনে মমতা বুধবার কবি-গীতিকার জাভেদ আখতারকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিশিষ্টজনদের বৈঠকে হাজির হন। ওই বৈঠকে ছিলেন মহেশ, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাড্ডা, মেধা পাটকরের মতো ব্যক্তিত্ব। হাজির ছিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরাও।

মমতাকে মুম্বাইয়ের বিদ্বজ্জনেরা একযোগে জানান, বিজেপির শাসনে ভারতে যখন দুরাশার অন্ধকার নেমেছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ই তাদের আশার আলো জুগিয়েছে। তাই মমতাই তাদের কাছে আশার আলোর প্রতীক।

একইসঙ্গে তাদের এ প্রশ্নও ছিল, এ পরিস্থিতিতে কি মমতা নিজেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবছেন? জবাবে মমতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে কেউ হতে পারেন। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। লোকসভা নির্বাচনে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।’

মমতার সঙ্গে মুম্বাইয়ের বিশিষ্টজনেদের আলাপ করিয়ে দেন জাভেদ। মমতাকে অভিনেত্রী স্বরা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ খেলা দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা তাতে খুশি। কিন্তু আরও বড় লড়াই করতে হবে। কিন্তু নাগরিকদেরও কথা বলার অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। এর প্রতিকার কী?’

বুধবারের বৈঠকে এই প্রশ্ন বার বারই আসে মমতার কাছে। জবাবে মমতা বলেন, ‘নাগরিক সমাজ একটি কমিটি বানাক। আপনারা আমাদের দিশা দেখান। শুরুটা মুম্বাই থেকেই হোক। যা সাহায্য লাগে, করব। মুম্বাই আর কলকতা যদি একসঙ্গে কাজ করে, তবে দিল্লি ভয় পাবে।’

কমিটি গঠনের ব্যাপারে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লির বিশিষ্টজনদেরও সঙ্গে নেয়ার কথাও বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘স্বরার মতো তরুণদের সঙ্গে নিন।’ স্বরার কথার সূত্র ধরেই মমতা বলেন, ‘খেলা হয়ে গেছে নয়, আবার খেলা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুম্বাইয়ে মমতা : প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- গুরুত্বপূর্ণ নয়, গণতন্ত্র বাঁচান

আপডেট : ০১:১১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধান বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে এখনই ভাবতে রাজি নন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বাইয়ে বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে বৈঠকে বুধবার তিনি বলেন, ‘কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিজেপিকে সরিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

লোকসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী অবস্থান প্রসঙ্গে ওই বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মমতাকে। পরিচালক মহেশ ভাট প্রশ্ন করেন, অতি অবামপন্থীদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে মমতা কী ভাবছেন।

জবাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়ব। নাগরিক সমাজকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। বিজেপিকে বোল্ড আউট করে দিতে হবে। এটা আপনারাই পারেন।’

মুম্বাই সফরের দ্বিতীয় দিনে মমতা বুধবার কবি-গীতিকার জাভেদ আখতারকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিশিষ্টজনদের বৈঠকে হাজির হন। ওই বৈঠকে ছিলেন মহেশ, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাড্ডা, মেধা পাটকরের মতো ব্যক্তিত্ব। হাজির ছিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরাও।

মমতাকে মুম্বাইয়ের বিদ্বজ্জনেরা একযোগে জানান, বিজেপির শাসনে ভারতে যখন দুরাশার অন্ধকার নেমেছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ই তাদের আশার আলো জুগিয়েছে। তাই মমতাই তাদের কাছে আশার আলোর প্রতীক।

একইসঙ্গে তাদের এ প্রশ্নও ছিল, এ পরিস্থিতিতে কি মমতা নিজেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবছেন? জবাবে মমতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে কেউ হতে পারেন। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। লোকসভা নির্বাচনে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।’

মমতার সঙ্গে মুম্বাইয়ের বিশিষ্টজনেদের আলাপ করিয়ে দেন জাভেদ। মমতাকে অভিনেত্রী স্বরা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ খেলা দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা তাতে খুশি। কিন্তু আরও বড় লড়াই করতে হবে। কিন্তু নাগরিকদেরও কথা বলার অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। এর প্রতিকার কী?’

বুধবারের বৈঠকে এই প্রশ্ন বার বারই আসে মমতার কাছে। জবাবে মমতা বলেন, ‘নাগরিক সমাজ একটি কমিটি বানাক। আপনারা আমাদের দিশা দেখান। শুরুটা মুম্বাই থেকেই হোক। যা সাহায্য লাগে, করব। মুম্বাই আর কলকতা যদি একসঙ্গে কাজ করে, তবে দিল্লি ভয় পাবে।’

কমিটি গঠনের ব্যাপারে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লির বিশিষ্টজনদেরও সঙ্গে নেয়ার কথাও বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘স্বরার মতো তরুণদের সঙ্গে নিন।’ স্বরার কথার সূত্র ধরেই মমতা বলেন, ‘খেলা হয়ে গেছে নয়, আবার খেলা হবে।’