‘ইউক্রেনে হামলা হলে রাশিয়াকে চরম পরিণতি মোকাবেলা করতে হবে’
- আপডেট : ১১:২২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
- / 126
ব্লিংকেন বলেন, ‘আমরা জানি না প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা।’ লাটভিয়ার রাজধানী রিগায় ন্যাটো জোটের এক বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইউক্রেন নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র এখন ন্যাটো দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ন্যাটো দেশগুলোর মন্ত্রী-পর্যায়ের বৈঠক শেষে ব্লিংকেন জানান, ইউক্রেনে হামলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুবই উদ্বিগ্ন।
ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সামরিক যান, সেনা এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম মজুত করেছে। এ বছরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার রাশিয়া এভাবে সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করলো।
অ্যান্থনি ব্লিংকেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানি, রাশিয়া যেভাবে সীমান্তে সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করেছে, তাতে ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিলে খুব কম সময়ের মধ্যে তা কার্যকর করা যাবে।’
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, বৃহস্পতিবার সুইডেনে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বিষয়ক সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ব্লিংকেনের সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা হতে পারে। সেই আলোচনায় ইউক্রেনের প্রসঙ্গ উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বুধবার জানান, রাশিয়ায় যেসব মার্কিন কূটনীতিক তিন বছরের বেশি সময় ধরে আছেন, তাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ২৭ জন রুশ কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তারই জবাব দিল রাশিয়া।
এ বছরের গোড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করার পরই দুই দেশের সম্পর্ক আবার খারাপ হয়েছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে পুতিন বলেছিলেন, ন্যাটো যদি ইউক্রেনে সামরিক পরিকঠামো বাড়ায়, তাহলে তারা সীমা লঙ্ঘন করবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনার সময় তাদের স্পষ্ট করে বলা হবে, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে তারা যেন সেনা বা অস্ত্র মোতায়েন না করে।
তবে বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, উত্তেজনা কমাতে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে চান।