হত্যার হুমকি, বিদ্বেষ-বার্তা পান যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ নির্বাচন কর্মী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:২৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 170
দ্য গেটওয়ে পুন্ডিট শুরু হয়েছিল এক মামুলি মতামত ব্লগ হিসেবে। মার্কিন নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে- সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ দাবিটিকে যখন তারা বিশ্লেষণ আকারে একটি রিপোর্টে প্রকাশ করলো, তখন তা পড়তে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন ৫ কোটির বেশি পাঠক।

রয়টার্সের এক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওই রিপোর্টের জেরে অন্তত ২৫ জন নির্বাচন কর্মী একশ’র বেশি সহিংস হুমকি ও ঘৃণাসূচক বার্তা পেয়েছিলেন। গত ৩ ডিসেম্বর এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থাটি বিষয়গুলো তুলে আনে।

দ্য গেটওয়ে পুন্ডিট-এর বিতর্কীত ওই সংবাদটির শিরোনাম ছিল ‘হাজার হাজার জাল ভোট’। এতে বলা হয়, উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মেডিসনে ডোনাল্ড ট্রাম্প সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে। ওই নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর ট্রাম্পপন্থী গণমাধ্যমটি ‘জাল ভোট’ হওয়ার দাবি করে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে কট্টর ডানপন্থী ওয়েবসাইট দ্য গেটওয়ে পুন্ডিট-এর ওই রিপোর্টকে ‘বোগাস’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে ‘ভুয়া’ ব্যালট বুঝাতে সঙ্গে এমএলডব্লিউ ইনিশিয়াল যুক্ত করা হয়েছে। পরে এক পাঠক ওই রিপোর্টির নিচে এমএলডব্লিউ-এর পুরো বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।

তিনি এমএলডব্লিউ বলতে ম্যারিবেথ এল. উইজেল-বেহল বলে উল্লেখ করেন। এতে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। এ ব্যক্তিটি হলেন মেডিসন শহরের ক্লার্ক, যিনি সেখানে নির্বাচন পরিচালনা টিমের প্রধান ছিলেন।

তার পরিচয় পরিষ্কার হওয়ার পর অন্য যেসব পাঠক সেখানে মন্তব্য করেন, তাদের অধিকাংশই তার (ম্যারিবেথ এল. উইজেল-বেহল) মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন। এসব মন্তব্যের মধ্যে এটি ছিল আরও বেশি ধারালো। সেখানে বলা হয়, তাকে একে-৪৭ রায়ফেল দিয়ে দূর থেকে গুলি চালিয়ে যাতে হত্যা করা হয়।

উইজেল-বেহল বেশ কিছু ফোন কলও পেয়েছিলেন, যেগুলোতে তার সঙ্গে বিদ্বেষমূলক ভাষায় কথা বলা হয়েছে; হুমকি দেয়া হয়েছে।

তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যে ২৫ জন নির্বাচনী কর্মীকে লক্ষ্যে পরিণত করা হয়েছে তারমধ্যে একজন এই উইজেল-বেহল। গত বছর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনের পর দ্য গেটওয়ে পুন্ডিট-এ রিপোর্ট প্রকাশের পর তাদেরকে একশ’র বেশি হুমকিমূলক বার্তা দেয়া হয়েছে।

তথ্য-উপাত্তের উৎস হিসেবে রয়টার্স ইমেইল, চিঠি ও ফোনের বার্তা ব্যবহার করে। এ ছাড়া বিশেষ রিপোর্টের নিচে প্রকাশিত পাঠকদের মন্তব্যও আমলে নেয়া হয়েছে। (মূল প্রতিবেদনের সার-সংক্ষেপ)

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হত্যার হুমকি, বিদ্বেষ-বার্তা পান যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ নির্বাচন কর্মী

আপডেট : ১২:২৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
দ্য গেটওয়ে পুন্ডিট শুরু হয়েছিল এক মামুলি মতামত ব্লগ হিসেবে। মার্কিন নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে- সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ দাবিটিকে যখন তারা বিশ্লেষণ আকারে একটি রিপোর্টে প্রকাশ করলো, তখন তা পড়তে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন ৫ কোটির বেশি পাঠক।

রয়টার্সের এক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওই রিপোর্টের জেরে অন্তত ২৫ জন নির্বাচন কর্মী একশ’র বেশি সহিংস হুমকি ও ঘৃণাসূচক বার্তা পেয়েছিলেন। গত ৩ ডিসেম্বর এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থাটি বিষয়গুলো তুলে আনে।

দ্য গেটওয়ে পুন্ডিট-এর বিতর্কীত ওই সংবাদটির শিরোনাম ছিল ‘হাজার হাজার জাল ভোট’। এতে বলা হয়, উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মেডিসনে ডোনাল্ড ট্রাম্প সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে। ওই নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর ট্রাম্পপন্থী গণমাধ্যমটি ‘জাল ভোট’ হওয়ার দাবি করে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে কট্টর ডানপন্থী ওয়েবসাইট দ্য গেটওয়ে পুন্ডিট-এর ওই রিপোর্টকে ‘বোগাস’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে ‘ভুয়া’ ব্যালট বুঝাতে সঙ্গে এমএলডব্লিউ ইনিশিয়াল যুক্ত করা হয়েছে। পরে এক পাঠক ওই রিপোর্টির নিচে এমএলডব্লিউ-এর পুরো বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।

তিনি এমএলডব্লিউ বলতে ম্যারিবেথ এল. উইজেল-বেহল বলে উল্লেখ করেন। এতে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। এ ব্যক্তিটি হলেন মেডিসন শহরের ক্লার্ক, যিনি সেখানে নির্বাচন পরিচালনা টিমের প্রধান ছিলেন।

তার পরিচয় পরিষ্কার হওয়ার পর অন্য যেসব পাঠক সেখানে মন্তব্য করেন, তাদের অধিকাংশই তার (ম্যারিবেথ এল. উইজেল-বেহল) মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন। এসব মন্তব্যের মধ্যে এটি ছিল আরও বেশি ধারালো। সেখানে বলা হয়, তাকে একে-৪৭ রায়ফেল দিয়ে দূর থেকে গুলি চালিয়ে যাতে হত্যা করা হয়।

উইজেল-বেহল বেশ কিছু ফোন কলও পেয়েছিলেন, যেগুলোতে তার সঙ্গে বিদ্বেষমূলক ভাষায় কথা বলা হয়েছে; হুমকি দেয়া হয়েছে।

তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যে ২৫ জন নির্বাচনী কর্মীকে লক্ষ্যে পরিণত করা হয়েছে তারমধ্যে একজন এই উইজেল-বেহল। গত বছর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনের পর দ্য গেটওয়ে পুন্ডিট-এ রিপোর্ট প্রকাশের পর তাদেরকে একশ’র বেশি হুমকিমূলক বার্তা দেয়া হয়েছে।

তথ্য-উপাত্তের উৎস হিসেবে রয়টার্স ইমেইল, চিঠি ও ফোনের বার্তা ব্যবহার করে। এ ছাড়া বিশেষ রিপোর্টের নিচে প্রকাশিত পাঠকদের মন্তব্যও আমলে নেয়া হয়েছে। (মূল প্রতিবেদনের সার-সংক্ষেপ)