ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করস্বর্গে কোম্পানি: প্যান্ডোরা পেপার্সে ৮ বাংলাদেশির নাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৪৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 88
করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে অন্তত আটজন কোম্পানি নিবন্ধন করেছেন। আইসিআইজে কর্তৃক প্রকাশিত গোপনীয় প্যান্ডোরা পেপার্স থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে (৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জোট- ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) সাত লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের এ তালিকা প্রকাশ করে।

গোপনীয়ভাবে এসব কোম্পানি নিবন্ধন করা হয়, যা নতুন করে বিশ্বব্যাপী আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নতুন নথিগুলোতে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের নামও রয়েছে।

যে আটজন বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে কোম্পানি নিবন্ধন করেছেন, তারা হলেন- নিহাদ কবির, মোহাম্মদ ভাই, ইসলাম মঞ্জুরুল, সাইদুল হুদা চৌধুরী, অনিতা রানী ভৌমিক, সাকিনা মিরালি, ওয়াল্টার পোলাক ও ড্যানিয়েল আর্নেস্টো আইউবাত্তি।

এদের মধ্যে ইসলাম মঞ্জুরুল, মোহাম্মদ ভাই, সাইদুল হুদা ও সাকিনা গুলশানের এবং অনিতা রানী চকবাজারের ঠিকানা ব্যবহার করে কোম্পানি খুলেছেন। নিহাদ কবিরের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রাজধানী ঢাকার ইন্দিরা রোড।

ক্যাপিটাল ফেয়ার হোল্ডিং লিমিটেড নামে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে ২০০৮ সালের আগস্টে একটি কোম্পানি নিবন্ধন নেন নিহাদ কবির। আর ইসলাম মঞ্জুরুল বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ওয়াল্টার পোলাক রাশিয়া ও ড্যানিয়েল আর্নেস্তো আর্জেন্টিনার ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।

তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ভাই ১৯৩৬ হোল্ডিংস লিমিটেড, সাকিনা মুন রেকার সার্ভিসেস করপোরেশন, আনিতা আনটেরিস হোল্ডিংস লিমিটেড, মঞ্জুরুল ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রি কেমিক্যাল কোম্পানি, সাইদুল বেবেন ইন্টারন্যাশনাল, ওয়াল্টার ফ্লিন্ট এন্টারপ্রাইজেস এসএ ও ড্যানিয়েল কুডেল লিমিটেড নামের কোম্পানির মালিক।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর প্যান্ডোরা পেপার্সের প্রথম নথি প্রকাশিত হয়। এসব নথি ফাঁস করতে ৬০০-এর বেশি সাংবাদিক কাজ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

করস্বর্গে কোম্পানি: প্যান্ডোরা পেপার্সে ৮ বাংলাদেশির নাম

আপডেট : ১০:৪৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে অন্তত আটজন কোম্পানি নিবন্ধন করেছেন। আইসিআইজে কর্তৃক প্রকাশিত গোপনীয় প্যান্ডোরা পেপার্স থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে (৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জোট- ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) সাত লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের এ তালিকা প্রকাশ করে।

গোপনীয়ভাবে এসব কোম্পানি নিবন্ধন করা হয়, যা নতুন করে বিশ্বব্যাপী আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নতুন নথিগুলোতে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের নামও রয়েছে।

যে আটজন বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে কোম্পানি নিবন্ধন করেছেন, তারা হলেন- নিহাদ কবির, মোহাম্মদ ভাই, ইসলাম মঞ্জুরুল, সাইদুল হুদা চৌধুরী, অনিতা রানী ভৌমিক, সাকিনা মিরালি, ওয়াল্টার পোলাক ও ড্যানিয়েল আর্নেস্টো আইউবাত্তি।

এদের মধ্যে ইসলাম মঞ্জুরুল, মোহাম্মদ ভাই, সাইদুল হুদা ও সাকিনা গুলশানের এবং অনিতা রানী চকবাজারের ঠিকানা ব্যবহার করে কোম্পানি খুলেছেন। নিহাদ কবিরের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রাজধানী ঢাকার ইন্দিরা রোড।

ক্যাপিটাল ফেয়ার হোল্ডিং লিমিটেড নামে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে ২০০৮ সালের আগস্টে একটি কোম্পানি নিবন্ধন নেন নিহাদ কবির। আর ইসলাম মঞ্জুরুল বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ওয়াল্টার পোলাক রাশিয়া ও ড্যানিয়েল আর্নেস্তো আর্জেন্টিনার ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।

তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ভাই ১৯৩৬ হোল্ডিংস লিমিটেড, সাকিনা মুন রেকার সার্ভিসেস করপোরেশন, আনিতা আনটেরিস হোল্ডিংস লিমিটেড, মঞ্জুরুল ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রি কেমিক্যাল কোম্পানি, সাইদুল বেবেন ইন্টারন্যাশনাল, ওয়াল্টার ফ্লিন্ট এন্টারপ্রাইজেস এসএ ও ড্যানিয়েল কুডেল লিমিটেড নামের কোম্পানির মালিক।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর প্যান্ডোরা পেপার্সের প্রথম নথি প্রকাশিত হয়। এসব নথি ফাঁস করতে ৬০০-এর বেশি সাংবাদিক কাজ করেছেন।